১৮ মে ২০২৪, ০৫:২৮ অপরাহ্ন, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বাবুগঞ্জে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা মামলায় কারাগারে মাদরাসা সুপার চাঁদপাশায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা বিনতে ওহাব এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত রিকশাচালককে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া সেই পুলিশ সদস্য ক্লোজড বরিশালে স্বামীর জমানো টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী তেঁতুলিয়া হাসপাতালে অকেজো মালামাল টেন্ডারে ঘাবলা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি দর্শনায় আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় ও সংবর্ধনা বানারীপাড়ায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাক মাস্টারের দাফন সাংবাদিক সোহেল সানি ও রাহাদ সুমনের নানি কোহিনুর বেগমের ইন্তেকাল
নিঃসন্তান দম্পতির ব্যতিক্রমধর্মী ছাগলের খতনা অনুষ্ঠানে ৩০০ অতিথি

নিঃসন্তান দম্পতির ব্যতিক্রমধর্মী ছাগলের খতনা অনুষ্ঠানে ৩০০ অতিথি

আজকের ক্রাইম ডেক্স

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের কাশেমপুর গ্রামে নিঃসন্তান ওহাব ও লাইলী বেগম দম্পতি আত্মতুষ্টির জন্য ছাগলের খতনা অনুষ্ঠানে তিন শত লোককে দাওয়াত দিয়ে খাইয়েছেন। নিজ বাড়িতে শুক্রবার দিনব্যাপী চলে এই ছাগলের ব্যতিক্রমধর্মী এই খতনা অনুষ্ঠান।

এলাকাবাসী প্রচণ্ড আগ্রহভরে ও আনন্দের সাথে ব্যতিক্রমধর্মী এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিনা উপহারে ভূরিভোজে অংশগ্রহণ করেন। ওহাব ও লাইলী বেগম দম্পতির ব্যতিক্রমধর্মী ছাগলের এই সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠান এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ওহাব ও লাইলী দম্পতির তাদের ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে সন্তানের মুখ দেখেননি। যে কারণে তাদের মধ্যে না পাওয়ার বেদনা হতাশায় রুপ নিয়েছে। সম্প্রতি তাদের পোষা ছাগলের দুটি খাসির বাচ্চা জন্ম নেয়ার পর তারা স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে অনুষ্ঠান করে বাড়িতে আত্নীয় স্বজন ও এলাকাবাসীকে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। দিনমজুর ওহাব জানান, আত্মীয়-স্বজনসহ তিনশত লোককে দাওয়াত দিয়ে খাইয়ে মনে অনেক বড় প্রশান্তি অনুভব করছেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী আয়োজক ওহাব আলীর আত্মীয় তানভির হাসান বলেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। আমাদের আত্মীয়-স্বজন সবার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল। জীবনে কখনো ছাগলের খতনার অনুষ্ঠান দেখিনি এবং কোনোদিন অংশগ্রহণও করেনি। এভাবে খতনা করা ছাগল দুটিকে রঙিন কাপড় পরিয়ে অনুষ্ঠান ছিলো ভিন্নধর্মী।

সবাই খুব আনন্দ পেয়েছেন।
এদিকে ব্যতিক্রমী এমন আয়োজনের ব্যতিক্রমী এ খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনার সত্যতা জানতে এবং ছাগলের বাচ্চা দুটোকে এক নজর দেখার জন্য উৎসুক জনতা তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019