২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার, ভাই-বোন আটক বরিশালে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের দুই মাস পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা বরিশালে মাননীয় নির্বাচন কমিশনার মহোদয়ের সাথে বিএমপি কমিশনার এর সৌজন্য সাক্ষাৎ গভীর রাতে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ২ যুবক নিহত পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে দু’ দেশের পতাকা বৈঠক শেষে ভারতীয় নাগরিককে ফেরত কাঠালিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ১ ডাকাত গ্রেফতার দামুড়হুদায় নাশকতার মামলায় জামায়াতের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সাবেক চেয়ারম্যান,সাবেক ভাইস ঝালকাঠি পৌরসভার দুই খেয়াঘাট ইজারায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাবুগঞ্জে পাট ক্ষেত দিয়ে হাটার প্রতিবাদ করায় কৃষককে কুপিয়ে জখম
ঝালকাঠিতে ৩ বছর ধরে ১জন শিক্ষক দিয়েই চলছে সরকারি স্কুল।

ঝালকাঠিতে ৩ বছর ধরে ১জন শিক্ষক দিয়েই চলছে সরকারি স্কুল।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: মাত্র ১ জন শিক্ষক দিয়েই ৩ বছর ধরে চলছে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের আলহাজ্ব মোর্শেদ আলম খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অথচ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের পদ রয়েছে ৫টি। জানা যায় শিক্ষকের অভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান। শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা আর এ জন্য বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

উপজেলা শিক্ষা অফিস স‚ত্রে জানা যায়, পোনাবালিয়া ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৬ টি, ইউনিয়নের অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয় যেমন রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ জন, ভাওতিতা ৫ জন, পশ্চিম ভাওতিতা ৫ জন, নুরুল্লাাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক থাকলেও সমন্বয়ের অভাবে শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে মোর্শেদ আলম খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
স‚ত্রে আরও জানায় যে, কিছুদিন প‚র্বে পশ্চিম ভাওতিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিংকু ঘরামীকে মোর্শেদ আলম খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংযুক্তির আদেশ দিলেও অফিস আদেশ অমান্য করে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি রিংকু ঘরামী।

জানা যায়- দূরত্বের অজুহাতে তিনি (রিংকু ঘরামী) যোগদান করেননি বদলিকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

বিদ্যালয়ের এসএমসি’র সভাপতি আলহাজ্ব মোর্শেদ আলম খান বলেন, “ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনেক সময় দাপ্তরিক কাজের জন্য বের হলে বিদ্যালয়ে শিক্ষক থাকে ১জন আর তখন ১ শিক্ষকের জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী অনেক বিদ্যালয়েই শিক্ষার্থী সংখ্যা অনুপাতে অধিক শিক্ষক রয়েছে, কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলেই এখানে শিক্ষক দিতে পারেন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বার্থে অতি দ্রুত শিক্ষক দেয়ার দাবি জানান তিনি।”

এ ব্যপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে ২ জন শিক্ষক দেয়ার জন্যে অর্ডার দিয়েছি। তিনি ইতোমধ্যে ২ জন শিক্ষক সংযুক্তির আদেশ দিয়েছেন এবং ১জন যোগদানও করেছেন, অতি দ্রুত আরও ১জন শিক্ষক ওখানে যোগদান করবেন।”

ঝালকাঠি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মঈনুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, “এটি ১৫০০ স্কুলের আওতায় পড়েছে। সরকার এ সকল স্কুলে কোন শিক্ষক এখনও দেয়নি। আমরা অন্য স্কুল থেকে শিক্ষক এনে ডেপুটেশন দিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম চালাচ্ছি। ইতি মধ্যে ১ জন শিক্ষক যোগদান করেছেন এবং আরেকজন যোগদান করার কথা থাকলেও তিনি দূরত্বের অজুহাত দিয়ে যোগদান করেননি। তবে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি শীঘ্রই প্রতিষ্ঠানটিতে পাঠদানের জন্য শিক্ষক নিযুক্ত করতে।”

স্কুল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নতুন ১ জন শিক্ষক যোগদান করার পর দু’জন শিক্ষক প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছেন। বর্তমানে ২ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চলছে। কিন্তু এর আগে ১ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019