০৬ মে ২০২৪, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
আরও তীব্র হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সংঘাত। দক্ষিণ চীন সাগর থেকে শুরু করে করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে দুই দেশের মধ্যে। এমন সময়ে, নজিরবিহীনভাবে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হিউস্টন শহরের চীনা দূতাবাসটি আগামীকাল শুক্রবার (২৪ জুলাই)-এর মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চীনকে নির্দেশ দেওয় হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ করে পাল্টা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং।
গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) , মার্কিন মুখপাত্র মর্গ্যান অরটাগাস এক বিবৃতিতে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি’ এবং গোপন তথ্য সুরক্ষিত রাখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
তিনি এই বার্তাও দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বভৌমত্বে আঘাত করেছে চীন। যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ভিয়েনা চুক্তিতেই স্থির হয়েছিল, আমন্ত্রক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা গলানো যাবে না।
সেই শর্ত ভঙ্গ করেছে বেজিং।
ওয়াশিংটন ডিসির দূতাবাস ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রে আরও পাঁচটি দূতাবাস রয়েছে চীনের। তার মধ্যে হিউস্টনের দূতাবাসটিই কেন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হল সেই কারণ এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তা নিয়ে মুখ খোলেননি অরটাগাস।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর চীন পাল্টা ব্যবস্থার কড়া হুমকি দিয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, কোনো কারণ ছাড়া হিউস্টনে একতরফাভাবে চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, এবং ইচ্ছাকৃতভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা।