০৫ মে ২০২৪, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক এমএ গফুর ইন্তেকাল
বরিশাল উন্নায়ন টাকা আত্মসাতের জন্য আটক

বরিশাল উন্নায়ন টাকা আত্মসাতের জন্য আটক

বরিশালঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ১২১ নং পাঁচশতকুঁড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নের ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্হানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসী উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বিদ্যালয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০ সালে স্হাপিত প্রাথমিক বিদ্যায়টির নামে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে মাইনর মেরামত বাবদ ১ লক্ষ টাকা,২০১৬ সালের স্লিপ প্রকল্পের ৪০ হাজার টাকা,২০১৭ সালের স্লিপ প্রকল্পের ৪০ হাজার টাকা, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের শিশু শ্রেনীর উপকরণ ক্রয় বাবদ ১০ হাজার টাকা অর্থাৎ সরকারি বরাদ্দের ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হলেও সিঁকি ভাগও বাস্তবায়ন হয়নি।বরাদ্দকৃত অর্থের বিশাল একটি অংশ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা পকেটস্হ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।কাগজে কলমে সব ঠিকঠাক থাকলেও বাস্তবে করা হয়নি কোনও কাজ।

নিয়মানুযায়ি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির আর্থিক ফান্ড থেকে ৫০% কাজ করার পর কমিটির রেজুলেশনসহ বিল ভাউচার করে সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দিতে হয়।এরপর উপজেলার স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)প্রতিনিধি পরিদর্শন শেষে কাজের উপর প্রতিবেদন দিবেন।সেই প্রতিবেদনের উপর শিক্ষা কর্মকর্তা অথবা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তারা বিদ্যালয়ে গিয়ে কাজের অগ্রগতি ও গুনগত মান যাচাই করে যতটুকু কাজ হয়েছে তার বিল ছাড় দিবেন।কিন্তু এসব কোন নিয়ম পালন না করে শুধুমাত্র বিল ভাউচারই জমা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কোহিনুর বেগম জানান,”২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন মাকসুদুল্লাহ মাসুদ।তিনি ০১.০৭.১৭ ইং তারিখে বদলি হন।এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন হোসনেয়ারা বেগম।আর আমি ০১.০৭.১৮ ইং তারিখে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বরাদ্দ এবং উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নের বিষয়ে আমি অবগত নই।তবে পরিদর্শন খাতায় কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক কতৃক লিখিত আছে।”এছাড়াও তিনি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের সকল বরাদ্দ উত্তোলন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঠবাড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান,”২৬.০৮.১৯ ইং তারিখে বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছি। সংশোধন না হলে শীঘ্রই এ্যাকশনে যাব।”

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019