২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে মাদক মামলার রায়ে অভিযুক্ত খালাস, পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী নেতাদের নিয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা কে এম পি খালিশপুর থানা পুলিশের অভিযানে অনলাইন ডিজিটালাইজড প্রতারক চক্রের ২সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার। আজ থেকে ঢাকায় শুরু হল এশিয়া- প্যাসিফিক বধির দাবা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ “””””””””””””””” উদ্বোধন করলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ রিয়াজ হোসেন খান পিপিএম। এডিশনাল এসপি পদে পদোন্নতি পাওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বরিশাল জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা: কাদের বানারীপাড়ায় ১৩ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ লম্পট গ্রেফতার আজ আকাশে দেখা মিলবে গোলাপী চাঁদ এক রাতেই ৮০ বার কাঁপলো তাইওয়ান! চুয়াডাঙ্গায় সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি
বরিশাল উন্নায়ন টাকা আত্মসাতের জন্য আটক

বরিশাল উন্নায়ন টাকা আত্মসাতের জন্য আটক

বরিশালঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ১২১ নং পাঁচশতকুঁড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নের ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্হানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসী উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বিদ্যালয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০ সালে স্হাপিত প্রাথমিক বিদ্যায়টির নামে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে মাইনর মেরামত বাবদ ১ লক্ষ টাকা,২০১৬ সালের স্লিপ প্রকল্পের ৪০ হাজার টাকা,২০১৭ সালের স্লিপ প্রকল্পের ৪০ হাজার টাকা, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের শিশু শ্রেনীর উপকরণ ক্রয় বাবদ ১০ হাজার টাকা অর্থাৎ সরকারি বরাদ্দের ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হলেও সিঁকি ভাগও বাস্তবায়ন হয়নি।বরাদ্দকৃত অর্থের বিশাল একটি অংশ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা পকেটস্হ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।কাগজে কলমে সব ঠিকঠাক থাকলেও বাস্তবে করা হয়নি কোনও কাজ।

নিয়মানুযায়ি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির আর্থিক ফান্ড থেকে ৫০% কাজ করার পর কমিটির রেজুলেশনসহ বিল ভাউচার করে সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দিতে হয়।এরপর উপজেলার স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)প্রতিনিধি পরিদর্শন শেষে কাজের উপর প্রতিবেদন দিবেন।সেই প্রতিবেদনের উপর শিক্ষা কর্মকর্তা অথবা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তারা বিদ্যালয়ে গিয়ে কাজের অগ্রগতি ও গুনগত মান যাচাই করে যতটুকু কাজ হয়েছে তার বিল ছাড় দিবেন।কিন্তু এসব কোন নিয়ম পালন না করে শুধুমাত্র বিল ভাউচারই জমা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কোহিনুর বেগম জানান,”২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন মাকসুদুল্লাহ মাসুদ।তিনি ০১.০৭.১৭ ইং তারিখে বদলি হন।এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন হোসনেয়ারা বেগম।আর আমি ০১.০৭.১৮ ইং তারিখে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বরাদ্দ এবং উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নের বিষয়ে আমি অবগত নই।তবে পরিদর্শন খাতায় কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক কতৃক লিখিত আছে।”এছাড়াও তিনি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের সকল বরাদ্দ উত্তোলন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঠবাড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান,”২৬.০৮.১৯ ইং তারিখে বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছি। সংশোধন না হলে শীঘ্রই এ্যাকশনে যাব।”

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019