০৫ মে ২০২৪, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান কাবিননামায় দেনমোহর নিয়ে প্রতারণা, স্ত্রী গ্রেফতার গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
প্রয়োজনে একটা কিডনি রেখে দিয়ে করোনার টেস্ট করাই দিয়েন। আজকের ক্রাইম-নিউজ

প্রয়োজনে একটা কিডনি রেখে দিয়ে করোনার টেস্ট করাই দিয়েন। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক:: তিন-চার মাস ধরে কামাই বন্ধ। বেসরকারি হাসপাতালের করোনাভাইরাস পরীক্ষার বাড়তি ফি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাঈম হাসান নীল নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক তরুণ বলে প্রয়োজনে একটা কিডনি রেখে দিয়ে করোনার টেস্ট করাই দিয়েন।
সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেসরকারি হাসপাতালটিতে একমাত্র করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব রয়েছে।

বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ক্ষেত্রে সরকার সাড়ে তিন হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের কাছ থেকে কালেকশন ফি হিসেবে আরও অতিরিক্ত ২০০ টাকা করে নিচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার সবকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু জেলায় সরকারি পিসিআর ল্যাব না থাকায় নমুনা সংগ্রহের পর ঢাকায় পাঠানো হয়। আর ঢাকা থেকে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাতদিন।

এ অবস্থায় জেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষায় একমাত্র এবং প্রথম বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অনুমতি পায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এরপর গত ১১ জুন পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকারের বেঁধে দেয়া ফি অনুযায়ী সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার কথা থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের কাছ থেকে নিচ্ছে ৩৭০০ টাকা।

বুধবার (১৭ জুন) মো. সোহেল নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক কর্মচারী করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি ও নমুনা সংগ্রহের সময়সূচি জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ‘উইশ ফর বেটার ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে করা সোহেলের ওই পোস্টে বলা হয়, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ১৭ জুন থেকে করোনার নমুনা নেয়া শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ১০টা দুই ঘণ্টা নমুনা নেয়া হবে এবং একদিন পর রিপোর্ট দেয়া হবে। ফি ৩৫০০+২০০ (কালেকশন ফি) মোট ৩৭০০ টাকা।

বাড়তি ফি আদায়ের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সোহেলের ওই পোস্টে নাঈম হাসান নীল নামের এক তরুণ মন্তব্য করেছেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন, একটা কিডনি রেখে দিয়ে করোনার টেস্ট করাই দিয়েন। তিন চার মাস ধরে কামাই বন্ধ।’

আতিকুল ইসলাম রিগান নামে আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘ধান্দাবাজ সব, এখন করোনা নিয়েও ধান্দা শুরু করছে সবগুলা। ৩৭০০ টাকা দিয়ে করোনা টেস্ট মগের মুল্লুক, চোরের দল।’

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ বলেন, কালেকশন ফি তো আমি নিচ্ছি না, যারা প্যাথলজিস্ট তারা নিচ্ছে। যে প্যাথলজিস্ট জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীর শরীরে হাত দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করছে- তাদের প্রতি সবার মানবিক হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, মানুষের উপকারের জন্য আমি এতোগুলো টাকা খরচ করে ল্যাব স্থাপন করলাম। আমার লাভের দরকার নেই। আমি বলেছি সরকার যদি কিট সরবরাহ করে তাহলে বিনা পয়সায় শুধু কালেকশন চার্জ রেখে পরীক্ষা করব।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019