২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ঝালকাঠিতে মৎস্য কর্মকর্তার ৩ ঘন্টার অভিযানে ১ লক্ষ টাকার অবৈধ জাল জব্দ বৃষ্টি প্রত্যাশায় ইস্তিস্কার নামাজে কাঁদলেন ঝালকাঠিবাসী দামুড়হুদায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে করণীয়” শীর্ষক সেমিনার আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বরিশালে মাদক মামলার রায়ে অভিযুক্ত খালাস, পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী নেতাদের নিয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা কে এম পি খালিশপুর থানা পুলিশের অভিযানে অনলাইন ডিজিটালাইজড প্রতারক চক্রের ২সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার। আজ থেকে ঢাকায় শুরু হল এশিয়া- প্যাসিফিক বধির দাবা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ “””””””””””””””” উদ্বোধন করলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ রিয়াজ হোসেন খান পিপিএম। এডিশনাল এসপি পদে পদোন্নতি পাওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বরিশাল জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন
প্রয়োজনে একটা কিডনি রেখে দিয়ে করোনার টেস্ট করাই দিয়েন। আজকের ক্রাইম-নিউজ

প্রয়োজনে একটা কিডনি রেখে দিয়ে করোনার টেস্ট করাই দিয়েন। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক:: তিন-চার মাস ধরে কামাই বন্ধ। বেসরকারি হাসপাতালের করোনাভাইরাস পরীক্ষার বাড়তি ফি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাঈম হাসান নীল নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক তরুণ বলে প্রয়োজনে একটা কিডনি রেখে দিয়ে করোনার টেস্ট করাই দিয়েন।
সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেসরকারি হাসপাতালটিতে একমাত্র করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব রয়েছে।

বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ক্ষেত্রে সরকার সাড়ে তিন হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের কাছ থেকে কালেকশন ফি হিসেবে আরও অতিরিক্ত ২০০ টাকা করে নিচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার সবকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু জেলায় সরকারি পিসিআর ল্যাব না থাকায় নমুনা সংগ্রহের পর ঢাকায় পাঠানো হয়। আর ঢাকা থেকে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাতদিন।

এ অবস্থায় জেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষায় একমাত্র এবং প্রথম বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অনুমতি পায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এরপর গত ১১ জুন পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকারের বেঁধে দেয়া ফি অনুযায়ী সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার কথা থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের কাছ থেকে নিচ্ছে ৩৭০০ টাকা।

বুধবার (১৭ জুন) মো. সোহেল নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক কর্মচারী করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি ও নমুনা সংগ্রহের সময়সূচি জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ‘উইশ ফর বেটার ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে করা সোহেলের ওই পোস্টে বলা হয়, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ১৭ জুন থেকে করোনার নমুনা নেয়া শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ১০টা দুই ঘণ্টা নমুনা নেয়া হবে এবং একদিন পর রিপোর্ট দেয়া হবে। ফি ৩৫০০+২০০ (কালেকশন ফি) মোট ৩৭০০ টাকা।

বাড়তি ফি আদায়ের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সোহেলের ওই পোস্টে নাঈম হাসান নীল নামের এক তরুণ মন্তব্য করেছেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন, একটা কিডনি রেখে দিয়ে করোনার টেস্ট করাই দিয়েন। তিন চার মাস ধরে কামাই বন্ধ।’

আতিকুল ইসলাম রিগান নামে আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘ধান্দাবাজ সব, এখন করোনা নিয়েও ধান্দা শুরু করছে সবগুলা। ৩৭০০ টাকা দিয়ে করোনা টেস্ট মগের মুল্লুক, চোরের দল।’

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ বলেন, কালেকশন ফি তো আমি নিচ্ছি না, যারা প্যাথলজিস্ট তারা নিচ্ছে। যে প্যাথলজিস্ট জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীর শরীরে হাত দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করছে- তাদের প্রতি সবার মানবিক হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, মানুষের উপকারের জন্য আমি এতোগুলো টাকা খরচ করে ল্যাব স্থাপন করলাম। আমার লাভের দরকার নেই। আমি বলেছি সরকার যদি কিট সরবরাহ করে তাহলে বিনা পয়সায় শুধু কালেকশন চার্জ রেখে পরীক্ষা করব।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019