০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৮ অপরাহ্ন, ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, রবিবার, ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও লিফলেট বিতরণ বানারীপাড়ায় জামায়াতের উদ্যোগে ফ্রি সুন্নতে খৎনা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বাবুগঞ্জের ধুমকেতু ফাউন্ডেশনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত বাবুগঞ্জে সালিশ বৈঠকে হামলা — দুই সহোদর গুরুতর আহত জেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন ———————— তোবারক সভাপতি, লিটন সাঃ সম্পাদক বরিশালের রসুলপুরে অস্ত্র, মাদক ও ২০ লাখ টাকাসহ নারী আটক মোরেলগঞ্জে বিষখালী নদীর সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল ডিবি পুলিশের হাতে আটক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে – ব্যারিষ্টার নওশাদ জমির বানারীপাড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন;
বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, পেশকারের দায়িত্ব পালন করছে কথিত নাইটগার্ড সিরাজ

বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, পেশকারের দায়িত্ব পালন করছে কথিত নাইটগার্ড সিরাজ

স্টাফ রিপোর্টার :

বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে সরকারি নিয়োগ ছাড়াই সিরাজ দীর্ঘদিন ধরে পেশকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন‌ এমন অভিযোগে মাধ্যমে বেরিয়ে এলো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।অভিযোগ সূত্রেজানা যায়, সিরাজ নামের এক ব্যক্তি নাইটগার্ড হিসেবে দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক চাকুরীর নিয়োগ নিয়ে উক্ত চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের চাকুরীর মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে।তবুও নাইটগার্ট সিরাজ এখনো অফিসে পেশকারের পদে সক্রিয় থাকে আবার কখনো পিয়ন হয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বিঘ্নে।

অভিযোগ সূত্রে আরো জানাযায়, সিরাজ শুধু পেশকার ও পিয়নের দায়িত্বই পালন করছেন না বরং সিরাজ নানা উপায়ে ঘুষ আদায়ের পাহাড় পরিমান অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কখনো নিজেকে পিয়ন পরিচয় দিয়ে ভূমি মালিকদের কাছে নোটিশ পৌঁছে দেন, আবার হাজিরা দেওয়ার সময় পেশকার দাবি করে বাদী বিবাদীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন তিন থেকে চারশ টাকা পর্যন্ত।এটিই হলো সিরাজের ঘুষ গ্রহণের প্রথম ধাপ।

এছাড়া ভূমি ও জমিজমার কাগজপত্রে নানা ত্রুটি দেখিয়ে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ঠিকঠাক করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আদায় করেন মোটা অঙ্কের টাকা। যার ফলে গ্রামের খেটে খাওয়া, সহজ-সরল ও অসহায় মানুষজন পড়ে যান এ চক্রের ফাঁদে।অনেকেই তাদের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হওয়ার খবর পাওয়া যায়।সরকারি অফিসের কর্মচারীর পরিচয় দিয়ে গড়ে ওঠা এ গোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে নানা রকম হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভোলা জেলার চরফ্যাশনের তিনটি অসম্পূর্ণ মৌজার কিছু জটিল কেসের শুনানির দায়িত্বে পান রঞ্জিত কুমার খাসকেল,অভিযোগকারীদের অনেকেই নাম প্রকাশে অনীহা প্রকাশ করেছেন ভয়ের কারণে।তাদের কিছু কাজ পেন্ডিং রয়েছে তাই।

সংবাদকর্মীরা অভিযুক্ত সিরাজের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অকপটে বলেন, “প্রেসক্লাবের সভাপতি আসুক, আমি তখন বলব। আমি যদি দুর্নীতি বা অনিয়ম করি, তাতে তোমাদের কী?”—এমন প্রশ্নবিদ্ধ বক্তব্যে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের মধ্যে।

এ বিষয়ে বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলাম বলেন,“ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, সরকারি দপ্তরে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ ও দায়িত্ব পালন যেন আর না হয়,সে জন্য দ্রুত তদন্ত ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019