১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২২ অপরাহ্ন, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে নিরাপত্তা জোরদার, ১৩ স্পটে তল্লাশি চৌকি সাতক্ষীরায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন বানারীপাড়ায় হত্যাকান্ডের শিকার কৃষকদল নেতা আঃ লতিফের মৃত্যুতে শোকসভা ও দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠিত বরিশালের বাবুগঞ্জে ভি-ডব্লিউ-বি কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণ উদ্বোধন নতুন ক‌রে বাংলাদেশ গড়া আমাদের নির্বাচনি অঙ্গীকার: আনিসুর রহমান খোকন পর্যটকবাহী নৌকাডুবি : পশুর নদে নিখোঁজ বরিশালের মেয়ে সাবেক নারী পাইলটের লাশ উদ্ধার প্রতিবন্ধী মনিরকে অচেতন করে অটোরিকশা চুরি না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে পরিবার বাবুগঞ্জে ইউপি সদস্যের পুত্রকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তেঁতুলিয়ায় অস্ত্র ঠেকিয়ে স্বর্ণালংকারসহ চার লাখ লুঠ থানায় মামলা ঘোড়াঘাটে দাবিহীন ১৫’শ দলিল পুড়িয়ে বিনষ্ট
পছন্দের ক্লিনিকে টেস্ট না করানোয় রিপোর্ট ছুড়ে ফেললেন চিকিৎসক

পছন্দের ক্লিনিকে টেস্ট না করানোয় রিপোর্ট ছুড়ে ফেললেন চিকিৎসক

আজকের ক্রাইম ডেক্স : শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আসা এক রোগীর চিকিৎসা প্রতিবেদন ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ও তার স্বজনদের দাবি ওই চিকিৎসকের পছন্দের ক্লিনিকে টেস্ট না করানোয় এমন কাণ্ড করেছেন তিনি।

রোগীর স্বজনরা জানান, সদর উপজেলার দড়ির হাওলা এলাকার এসকান চৌকিদার মঙ্গলবার দুপুরে হৃদরোগ আক্রান্ত হলে তার স্বজনরা তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

এসময় হাসপাতালের চিকিৎসক মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস রোগীকে কিছু পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। তিনি একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন।

তবে রোগীর স্বজনরা ওই ক্লিনিকে না গিয়ে অন্য আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করান। পরবর্তীতে রিপোর্ট নিয়ে কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াসের নিকটে গেলে তিনি রিপোর্ট দেখবেন না বলে ছুড়ে ফেলেন।

এসকান চৌকিদারের ছেলে হেদায়েত বলেন, চিকিৎসক কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস কিছু পরীক্ষার নির্দেশ দেন এবং তিনি পরীক্ষাগুলো একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি ক্লিনিক থেকে করানোর কথা বলেন।

কিন্তু আমরা আর্থিক সমস্যার কারণে ওই ক্লিনিকে না গিয়ে অন্য একটি ক্লিনিকে পরীক্ষাগুলো করাই। পরে রিপোর্ট নিয়ে এলে চিকিৎসক সেগুলো দেখতে অস্বীকৃতি জানান এবং আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের এমন আচরণে আমরা খুবই হতাশ ও বিপাকে পড়েছি।

চিকিৎসা নিতে আসা লিখন নামের এক ব্যক্তি বলেন, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের নির্দিষ্ট ক্লিনিকে পরীক্ষার অনুরোধ নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। পরীক্ষাগুলো অন্য কোথাও করালে অনেক সময় চিকিৎসকরা রিপোর্ট গ্রহণ করেন না।

এমন পরিস্থিতিতে দরিদ্র ও সাধারণ রোগীদের জন্য চিকিৎসা নেওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা চাই, চিকিৎসার ক্ষেত্রে এমন হয়রানি বন্ধ হোক। সবার জন্য সঠিক ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হোক।

এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি চিকিৎসক কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযোগটি অস্বীকার করেন। সেইসঙ্গে রোগীকে সঠিকভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন বলে দাবি জানান।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. আকরাম এলাহী বলেন, বিষয়টি জানতে পেয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।

এটি একটি ভুল বোঝাবুঝির ব্যাপার ছিল। চিকিৎসায় কোনো অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। রোগীদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো এবং সেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করবো।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019