২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব মুক্ত হয়ে সংসদ বা নির্বাহী বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য একই ব্যক্তি একইসঙ্গে সরকারপ্রধান (প্রধানমন্ত্রী), দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা থাকতে পারবেন না এবং একজন ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
বুধবার (২৮ আগস্ট) টিআইবির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ : গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি এমন প্রস্তাব তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত ভাবে সংসদ পরিচালনার জন্য স্পিকারকে সংসদের অভিভাবক হিসেবে দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব পরিহার করে সংসদের সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সংসদে বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত করতে হবে; স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অবর্তমানে সভাপতিমণ্ডলীর অন্তর্ভুক্ত বিরোধী দলীয় সদস্যদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিতে হবে।
সংস্কারের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক কাঠামো বিনির্মাণের আহ্বান টিআইবির
তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য জনগুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসহ (সরকারি হিসাব; আইন, বিচার ও সংসদ; অর্থ; বাণিজ্য; স্বরাষ্ট্র; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়) অন্তত ৫০ শতাংশ কমিটিতে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সব কার্যক্রমে স্বার্থের দ্বন্দ্ব পরিহার করতে হবে। সংসদীয় ব্যবস্থায় সংসদ সদস্য প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জনবৈচিত্র্য যেমন- তরুণ প্রজন্ম, নারী, আদিবাসী ও অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের মনোনয়নে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ তরুণ প্রতিনিধি থাকতে হবে।
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করারও দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
শান্তি-শৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা ও প্রশাসনিক স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, নজিরবিহীন প্রাণহানিসহ বহুমাত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সরাসরি ও হুকুমের অপরাধে দায়ী সবাইকে জাতিসংঘের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা; বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ না করতে যথাযথভাবে আইনসম্মত প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা জরুরি।