১৯ মে ২০২৪, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
পটুয়াখালীতে ফোন চাওয়ায় মায়ের বকাঝকা, এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা আগৈলঝাড়ায় শুক্রবার রাতে স্কুল ছাত্রী ও গৃহবধুর আত্মহত্যা বরিশাল নগরী বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনমূলক অভিযান বাবুগঞ্জে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা মামলায় কারাগারে মাদরাসা সুপার চাঁদপাশায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা বিনতে ওহাব এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত রিকশাচালককে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া সেই পুলিশ সদস্য ক্লোজড বরিশালে স্বামীর জমানো টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী তেঁতুলিয়া হাসপাতালে অকেজো মালামাল টেন্ডারে ঘাবলা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা, রানওয়েতে পুড়ে মৃত্যু হয় ৫৮৩ জনের

ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা, রানওয়েতে পুড়ে মৃত্যু হয় ৫৮৩ জনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৭ মার্চ, ১৯৭৭, এই তারিখটি স্পেনে ঘটে যাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার জন্য স্মরণ করা হয়ে থাকে। এই দিনে তেনেরিফ বিমানবন্দরের একই রানওয়েতে দুটি বিমান মুখোমুখি হয় এবং তারপর তাদের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় দুটি বিমানে থাকা ৫৮৩ জন প্রাণ হারান।

আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল সংলগ্ন কানারি দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় দ্বীপ তেনেরিফে। দ্বীপপুঞ্জটি স্পেনের অধীন স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এই দ্বীপপুঞ্জের আরেক দ্বীপ গ্রান কানারিয়ার লাস পালামাস থেকে বিমান দুটি ওড়ার কথা ছিল। তবে সেখানে সন্ত্রাসী বোমা হামলার ঘটনায় সব বিমান ঘুরিয়ে লস রোদেওস বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

লস রোদেওস তুলনামূলক ছোট বিমানবন্দর। সেখান থেকে স্থানীয় ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করা হয়। তা ছাড়া রোববার ছুটির দিন হওয়ায় বিমানের আনাগোনাও কম ছিল। কনট্রোল টাওয়ারের দায়িত্বে কেবল দুইজন কাজ করছিলেন।

এদিকে লস রোদেওস থেকে বিমানগুলোকে গ্রান কানারিয়া বিমানবন্দরের স্থানান্তরের চেষ্টা করা হয়। এই বিমানগুলোর দুটি হলো কেএলএম রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৪৮০৫ এবং প্যান অ্যামেরিকান ওয়ার্ল্ড এয়ারওয়েজের (প্যান অ্যাম) ফ্লাইট ১৭৩৬।

লস রোদেওসে এয়ারস্ট্রিপ ছিল একটি। ওদিকে পাহাড় থেকে ঘন কুয়াশা নেমে আসতে শুরু করে। কনট্রোল টাওয়ারের থেকে কেএলএমের পেছনে প্যান এম যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

কেএলএম বিমান উড্ডয়নের জন্য এগিয়ে যেতে শুরু করলে রানওয়েতে থাকা প্যান অ্যাম বিমানে সরাসরি গিয়ে ধাক্কা দেয়। কেএলএম বিমানের ২৩৪ জন যাত্রীর ভেতর ৫৩টি শিশু ছিল। আর প্যান এম বিমানে ৩৮০ যাত্রী ও ১১ ক্রু ছিল। সংঘর্ষে কেএলএমের সব যাত্রী ও ক্রু মারা যান। আর প্যান অ্যাম বিমানের সামনের দিকের কেবল ৬১ আরোহী বেঁচে ছিলেন।

পরবর্তীতে স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধানে জানা যায়, কনট্রোল টাওয়ারের নির্দেশনা ঠিকভাবে বুঝতে পারেননি কেএলএমের পাইলট। ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। মূলত এতেই দুর্ঘটনা ঘটে।

তাছাড়া প্রতিকূল আবহাওয়া এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিমানও একটা ব্যাপার। ঘটনাটি ইতিহাসে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এরপর বিমান চলাচলে বেতার যোগাযোগের ধরনের পরিবর্তন এনে একটি প্রমিত মান দাঁড় করানো হয়।

সূত্র: নিউজ ১৮, ডেইলি স্টার ইউকে

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019