০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, ৮ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
আজ থেকে শুরু হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা থেকে অংশ গ্রহণ করেছে ৬২৯ জন পরীক্ষার্থী । প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ২৩ জন পরীক্ষার্থী।
বৃৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) প্রথম দিনে বেলা ১০টায় এই উপজেলার দুটি কেন্দ্রে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা সাড়ে ১০ টায় কেন্দ্রে দুটি পরিদর্শন করেছেন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। এ সময় তার সাথে ছিলেন ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক।
এ বছর এই উপজেলার ঘোড়াঘাট সরকারী কলেজ এবং ঘোড়াঘাট মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেন্দ্র দুটি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দুটি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার কথা ছিল মোট ৬৫২ জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে ঘোড়াঘাট সরকারী কলেজ কেন্দ্রে ৪০০ জন এবং ঘোড়াঘাট মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ২৫২ জন পরীক্ষার্থী।
প্রথম দিনে মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে শতভাগ পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও, সরকারী কলেজ কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিল ২৩ জন পরীক্ষার্থী। এর আগে বুধবার (১৬ আগষ্ট) পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে ঘোষণা করে উপজেলা ব্যাপী মাইকে প্রচারণা চালায় উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী এই উপজেলায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার কেন্দ্র ৫টি। তারমধ্যে কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্র ২টি এবং মাদ্রাসা বোর্ডের কেন্দ্র ১টি। বাকি দুটি এইচএসসি কেন্দ্র। তবে বন্যার কারণে স্থগিত করা হয়েছে কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা। নতুন রুটিন অনুযায়ী আগামী ২৭ আগষ্ট থেকে শুরু হবে এই দুটি বোর্ডের পরীক্ষা।
ঘোড়াঘাট সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ এস এম মনিরুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন করতে আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছি। যথা সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম দিনে আমাদের কেন্দ্রে অনুপস্থিত রয়েছে ২৩ জন পরীক্ষার্থী।
কেন্দ্র দুটি পরিদর্শন শেষে ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আমাদের উপজেলার দুটি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেন্দ্রে স্মার্ট ফোন নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া আর কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের জন্য শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন। এ সব বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।