১৯ মে ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরাকের সিনজার অঞ্চলে তুরস্কের ড্রোন হামলায় অন্তত তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিরাপত্তা ও হাসপাতাল সূত্রের বরাতে ব্রিটেনভিত্তিক মিডল ইস্ট আই এমন খবর দিয়েছে।
দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলকে প্রায়ই হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে আসছে আংকারা। তুরস্ক বলছে, তারা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে হামলার নিশানা বানাচ্ছে।
১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। মঙ্গলবারের (১৭ আগস্ট) অভিযানে সিনজার প্রদেশের সেকাইনা গ্রামের একটি অস্থায়ী ক্লিনিকে ড্রোন হামলা করা হয়েছে। জেলার উপ-মেয়র জালাল খালেফ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন তথ্য দিয়েছেন।
সিনজারের এক চিকিৎসক বলেন, হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও আরও পাঁচ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তিনটি হামলার মাধ্যমে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তুরস্কের সামরিক বাহিনী এই হামলা চালিয়েছে বলে ইরাকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। এভাবে বারবার তুরস্কের বিমান হামলা নিয়ে বাগদাদে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কিন্তু তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান হুশিয়ারি করে দিয়ে বলেছেন, যদি ইরাক পিকেকের উপস্থিতির মোকাবিলা করতে না পারে, তবে তুরস্ক তার এসপর-ওসপার করে ছাড়বে।
এর আগে সোমবার এক বিমান হামলায় দুই সহকর্মীসহ ইরাকি বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ ইয়াজিদি কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। সিনজারের পিকেকে’র সঙ্গে তার যোগসাজশ ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
এতে এক পিকেকে কর্মকর্তাও আহত হয়েছিলেন। তিনি ইয়াজিদি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্য। তাকে চিকিৎসার জন্য সেকাইনা স্থাপনায় স্থানান্তর করা হয়েছিল।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ছবিতে একটি বাড়ির নিম্নাংশ ও ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া ক্লিনিক দেখা গেছে। সেখান থেকে কুণ্ডল পাঁকানো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিশ অঞ্চলে গত ২৫ বছরে এক ডজনেরও বেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে তুরস্ক। এরপর পিকেকে যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত হামলা অব্যাহত রেখেছে।
তবে এতে সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নিয়মিত প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে ইরাক। আন্তঃসীমান্ত সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়ে বেশ কয়েকবার তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।