২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
মো: জাকিরুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি::-
আলমডাঙ্গায় কে বা কারা আগুন দিয়ে আরজু খাতুন উপার্জনের শেষ সম্বল টুক হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বেলগাাছি গ্রামের আরজু খাতুনের উপার্জনের শেষ সম্বল চা ও মুদি দোকানটি কে বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছে।জানা গেছে, বেলগাছি মোল্লাপাড়ার মনোয়ার হোসেন দেড়মাস আগে মরণ ব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। পরিবারের একমাত্র উপার্জন সক্ষমব্যক্তি মারা যাওয়ার পর মৃত মনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আরজু খাতুন তার কিশোর দুই সন্তানকে নিয়ে অতি কষ্টে বসত করে আসছিল। স্বামী রেখে যাওয়া শেষ সম্বল টুকু দিয়ে চা ও মুদি দোকান চালিয়ে সংসার চালিয়ে কোন রকমে দিন যাপন করে আসছিল। সন্ধার পর দোকান বন্ধ করে দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। মধ্যরাতে প্রতিবেশিদের ডাক চিৎকারে আরজু খাতুন জানতে পারে তার উপার্জনের শেষ সম্বল দোকানটিতে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আরজু খাতুন চিৎকার করতে করতে দোকানে নিকট ছুটে গিয়ে দেখতে পায় সবকিছু পুড়ে গেছে। আরজু খাতুন জানান, তার স্বামী এই চায়ের দোকান চালিয়েই সংসার চালাত। তার স্বামী গত দেড় মাস আগে মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই ছেলেকে নিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়ার শেষ সম্বলটি অবলম্বন করে বাঁচার আশা দেখেছিলাম। কিন্তু আমার শেষ সম্বল টুকু বৃহস্পতিবার রাতে দূর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে শেষ হয়ে যায়।
এ আগুন জ্বালিয়ে তারা শুধু আমার দোকানকে জ্বালিয়ে দিলো না , জ্বালিয়ে দিলো আমার এতিম শিশুদের মুখের আহার যোগানোর একমাত্র সম্বল টুকু। এখন আমার ছোট ছোট দুই সন্তান নিয়ে অথৈ পাথারে পড়েছি। কি করে সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করবো। সেই আশা অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়ায়েছে।এলাকাবাসি জানায়, গভীর রাতে আরজু খাতুনের চা ও মুদি দোকানে আগুন দেখে পাড়ায় হৈচৈ শুরু হয়। ব্রিজের নিকট ছুটে এসে দেখতে পায় আরজু খাতুনের দোকানে দাও দাও করে আগুন জ্বলছে। এরই মধ্যে আরজু খাতুন সংবাদ পেয়ে কান্না করতে করতে ছুটে আসে। পাড়ার সবাই মিলে ক্যানেল থেকে পানি তুলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। ততক্ষনে আরজু খাতুনের শেষ সম্বল চা ও মুদি দোকান পুড়ে ভ’ষিভ’ত হয়ে যায়। আরজু খাতুনের সাথে গ্রামের কারো কোন শত্রুতা নেই। তবে কে বা কাহার তার দোকানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে তা কেউ বলতে পারিনি।এ ব্যাপারে আরজু খাতুন আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।