০৮ মে ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বুধবার, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
আজ দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর মেভলুত সাভাসগলু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্য, কোভিড-১৯, বহুপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। আমরা তুরস্কের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
গত সেপ্টেম্বরে আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন ভবন উদ্বোধন হয়েছে এবং আজ ঢাকায় তুরস্কের নতুন দূতাবাস ঢাকায় উদ্বোধন করা হবে বলে তিনি জানান।
আব্দুল মোমেন জানান, সবার জন্য সুবিধাজনক সময়ে বঙ্গবন্ধু ও কামাল আতাতুর্কের আবক্ষ মূর্তি দুই দেশে উন্মোচন করা হবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিত সাভাসগলুকে (ডানে) স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিত সাভাসগলুকে (ডানে) স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনছবি: সংগৃহীত
মেভলুত সাভাসগলু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান সূর্য। আর সব দেশের জন্য বাংলাদেশ আজ মডেল। এশিয়া আর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশ।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষাসহ নানা খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ আছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
মেভলুত সাভাসগলু বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি নিকট ভবিষ্যতে আমাদের বাণিজ্য ২০০ কোটি ডলার হবে, যা গত বছর ছিল প্রায় ১০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ বর্তমানে বিভিন্ন বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। তুরস্কের নির্মাণপ্রতিষ্ঠানগুলো পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম এবং চীনের পরেই তুরস্কের অবস্থান। এ খাতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’
প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তুরস্কের প্রতিরক্ষাপণ্যের গুণগত মান অত্যন্ত ভালো, দাম অত্যন্ত সুলভ এবং এগুলো কিনতে কোনো শর্ত আরোপ করা হয় না। আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশ এই সুবিধাগুলোর সুযোগ নেবে।’
প্রতিরক্ষা খাতে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও যৌথ উৎপাদনে রাজি আছে তুরস্ক জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবকিছু তৈরি করি না, তবে ৭৫ শতাংশের বেশি আমরা উৎপাদন করি। এর কারণ হচ্ছে, এর আগে যখন সমস্যা চলছিল, তখন আমাদের বন্ধুরাও আমাদের প্রতিরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করেনি এবং সে জন্য আমরা বেশির ভাগ পণ্য নিজেরাই উৎপাদন করি।’
এ খাতে তুরস্ক অনেক বিনিয়োগ করেছে জানিয়ে মেভলুত সাভাসগলু বলেন, ‘কয়েকটি দেশের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে পণ্য উৎপাদন করছি।’
রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ বিষয়ে যথেষ্ট করছে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু কথা শুনতে চাই না, আমরা কাজেও তার প্রতিফলন দেখতে চাই।’
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে মেভলুত সাভাসগলু বলেন, বাংলাদেশের এ বিষয়ে জাতিসংঘ এবং আইওএম, ইউএনএইচসিআরসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা উচিত।