০৩ মে ২০২৪, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
দামুড়হুদায় কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত, খাবার পেল এতিমখানা গৌরনদীর ধানডোবা গ্রামে স্ত্রীর অধিকার পেতে তিন মাসের আন্তঃসত্ত্বা নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন ঢাকা রিজিয়ন টুরিস্ট পুলিশ ও নেক্সট টুর অপারেটর এর মধ্যে আলোচনা ও মতবিনিময় স্মার্ট বাবুগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপনের গনসংযোগ আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন কালকিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন ঝালকাঠিতে আর ডি এফ’র কিশোরী কর্মী সহ দুই কিশোরীর বাল্য বিয়ে পন্ড ও আর্থিক জরিমানা দামুড়হুদায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে চেয়ারম্যান পদে ২জন সহ প্রার্থী হয়েছে ১৩ জন বাকেরগঞ্জের দাড়িয়ালে সড়ক নির্মানে দূর্নীতি ও অনিয়ম
ক্রিকেট বাজির নেশায় মা-বোনকে খুন! আজকের ক্রাইম-নিউজ

ক্রিকেট বাজির নেশায় মা-বোনকে খুন! আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক
ক্রিকেটে বাজির নেশায় নিজের মা ও বোনকে মেরে ফেললেন এক প্রকৌশল শিক্ষার্থী। ভারতের হায়দরাবাদের এই ২৩ বছর বয়সী তরুণ ব্যাংকে রাখা মায়ের সব টাকা বাজি ধরেন। নিজের পরিকল্পনামাফিক মৃত্যু নিশ্চিত করে নিয়ে যান হাসপাতালে।

স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে মুম্বাই মিরর জানিয়েছে, সৈনত মা ও বোনের খাবারে কীটনাশক মিশিয়ে দেন। ২৩ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী পড়তেন এমটেক নিয়ে। দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন তিনি। বাবা প্রভাকর রেড্ডি মারা গেছেন তিন বছর আগে। মা সুনিতা (৪৪) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। বোন অনুজা (২২) ফার্মাসিতে পড়তেন।
প্রভাকরের মৃত্যুর পর জীবনবীমা থেকে পাওয়া ও কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া অর্থ ব্যাংকে জমা রেখেছিলেন সুনিতা। মাকে না জানিয়েই ২০ লাখ টাকা তুলে বাজি ধরেন সৈনত। হেরে সব টাকা খোয়ান তিনি। বাজির অঙ্কটা ছিল আরো বড়। সেজন্য বিক্রি করে দেন মায়ের ১৫ ভরি গয়না।

সুনিতা ও অনুজা সবকিছু জানতে পারেন। ছেলেকে সবকিছু ছাড়ার নির্দেশ দেন সুনিতা। পরিবারের সব সম্পত্তি বাজিতে খাটানোর জন্য পরিকল্পনা করেন সৈনত। সেজন্য মা ও বোনের খাবারে মিশিয়ে দেন বিষ। ২৩ নভেম্বর রাতের খাবার নিয়ে খন্ডকালীন চাকরি করা সৈনত অফিসে চলে যান। খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন মা ও বোন। সেদিনের রাতের খাবারে ছিল বিষ মেশানো।
ফোন অফ করে রাখায় বারবার ফোন করেও ছেলেকে পাননি সুনিতা। সকাল ৯টায় ফোন ওপেন করে মায়ের মেসেজ দেখেন সৈনত। এরপর বাড়িতে ফোন করলে বোন অনুজা জানান, ‘তারা গুরুতর অসুস্থ’। বাড়িতে ফেরার পরও মা ও বোনকে হাসপাতালে নেননি সৈনত। তারা অজ্ঞান হওয়ার পরই নিয়ে যান হাসপাতালে। ২৭শে নভেম্বর মারা যান অনুজা। তার মা মারা যান পরের দিন।
আত্মীয়-স্বজনরা সন্দেহ করেন সৈনতকে। প্রশ্নের মুখে সব স্বীকার করেন। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সৈনত।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019