১৭ মে ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন, ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বি এম মনির হোসেনঃ-
দুজনের পরিচয় অপরিচিত মোবাইল নাম্বার থেকে। এরপর মন দেওয়া-নেওয়া। প্রেম যখন তুঙ্গে, তখন তারা বিয়ে ছাড়াই একের পর এক অবৈধ সম্পর্কে জড়ালেন প্রেমিক ইমরান মোল্লা ২৫,ও প্রেমিকা হাবিবা আক্তার ১৮। এরপর মেয়েটি তার সামাজিক স্বীকৃতির জন্য স্বামীকে বলেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। স্ত্রী-সন্তানকে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে রাজি নয় ছেলেটি। মেয়ে হাবিবা আক্তার খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার স্বামীর ঘরে বউ আছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে নিজের স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করেন মেয়েটি। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের দক্ষিণ ধানডোবা গ্রামে। অভিযুক্ত প্রেমিক দক্ষিণ ধানডোবা গ্রামের খলিল মোল্লার ছেলে ইমরান মোল্লা ২৫। অনশনরত মেয়েটি বলেন, প্রেমিক ইমরান মোল্লা ঢাকা নিয়ে চাকরি দিয়ে কুরিল বিশ্বরোড এলাকায় একটি বাসা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো তিন মাস জীবন যাপন করছি আমরা দুজনে। পরবর্তীতে ঈদের ছুটিতে প্রেমিক প্রেমিকাকে বলেন বাড়িতে আমার কাজ আছে, আমি বাড়ি যাই তুমিও বাড়ি যাও। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে প্রেমিকাকে ফোন দিয়ে জানান আমি বিবাহ করছি, মেয়ে শুনে বলে এখন আমি কি করবো আমার পেটের তিনমাসের আন্তঃসত্ত্বা। পরবর্তীতে প্রেমিক বাচ্চা নষ্ট করতে বলেন প্রেমিকাকে,প্রেমিকা জানান এটি আমি কখনোই পারবোনা, আমি আমার বাচ্চাকে পৃত্তি পরিচয়হীনভাবে বাঁচতে পারব না। আমার এবং আমার সন্তানের স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাব না। খলিল মোল্লার সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনা স্বীকার না করে বলে আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। স্থানীয় ইউপি সদস্য শিমুল মেম্বার বলেন, গ্রামের এক ছেলে আমাকে ফোন করে জানান যে খলিল মোল্লার ঘরে তিন মাসের আন্তঃসত্ত্বা নিয়ে একটি মেয়ে উঠেছে। খলিল মোল্লার পক্ষ থেকে আমাকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ জানান, ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।