২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ঘোড়াঘাটে নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী কারাগারে ঘোড়াঘাটে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০ রাত ১টার মধ্যে তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা, হুঁশিয়ারি সংকেত পুড়ে ছাই আইসিইউ, অসংখ্য যন্ত্রপাতির ক্ষতি চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ রেকর্ড,হিট ওয়েভের সতর্কবার্তা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট দেশে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি গাড়ি-বাড়ি নিয়ে শো-অফ, ভুয়া ভিসা বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি মামুন বানারীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ফুলেল শুভেচ্ছায সিক্ত মেনন
ক্রিকেট বাজির নেশায় মা-বোনকে খুন! আজকের ক্রাইম-নিউজ

ক্রিকেট বাজির নেশায় মা-বোনকে খুন! আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক
ক্রিকেটে বাজির নেশায় নিজের মা ও বোনকে মেরে ফেললেন এক প্রকৌশল শিক্ষার্থী। ভারতের হায়দরাবাদের এই ২৩ বছর বয়সী তরুণ ব্যাংকে রাখা মায়ের সব টাকা বাজি ধরেন। নিজের পরিকল্পনামাফিক মৃত্যু নিশ্চিত করে নিয়ে যান হাসপাতালে।

স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে মুম্বাই মিরর জানিয়েছে, সৈনত মা ও বোনের খাবারে কীটনাশক মিশিয়ে দেন। ২৩ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী পড়তেন এমটেক নিয়ে। দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন তিনি। বাবা প্রভাকর রেড্ডি মারা গেছেন তিন বছর আগে। মা সুনিতা (৪৪) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। বোন অনুজা (২২) ফার্মাসিতে পড়তেন।
প্রভাকরের মৃত্যুর পর জীবনবীমা থেকে পাওয়া ও কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া অর্থ ব্যাংকে জমা রেখেছিলেন সুনিতা। মাকে না জানিয়েই ২০ লাখ টাকা তুলে বাজি ধরেন সৈনত। হেরে সব টাকা খোয়ান তিনি। বাজির অঙ্কটা ছিল আরো বড়। সেজন্য বিক্রি করে দেন মায়ের ১৫ ভরি গয়না।

সুনিতা ও অনুজা সবকিছু জানতে পারেন। ছেলেকে সবকিছু ছাড়ার নির্দেশ দেন সুনিতা। পরিবারের সব সম্পত্তি বাজিতে খাটানোর জন্য পরিকল্পনা করেন সৈনত। সেজন্য মা ও বোনের খাবারে মিশিয়ে দেন বিষ। ২৩ নভেম্বর রাতের খাবার নিয়ে খন্ডকালীন চাকরি করা সৈনত অফিসে চলে যান। খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন মা ও বোন। সেদিনের রাতের খাবারে ছিল বিষ মেশানো।
ফোন অফ করে রাখায় বারবার ফোন করেও ছেলেকে পাননি সুনিতা। সকাল ৯টায় ফোন ওপেন করে মায়ের মেসেজ দেখেন সৈনত। এরপর বাড়িতে ফোন করলে বোন অনুজা জানান, ‘তারা গুরুতর অসুস্থ’। বাড়িতে ফেরার পরও মা ও বোনকে হাসপাতালে নেননি সৈনত। তারা অজ্ঞান হওয়ার পরই নিয়ে যান হাসপাতালে। ২৭শে নভেম্বর মারা যান অনুজা। তার মা মারা যান পরের দিন।
আত্মীয়-স্বজনরা সন্দেহ করেন সৈনতকে। প্রশ্নের মুখে সব স্বীকার করেন। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সৈনত।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019