২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আজ থেকে ঢাকায় শুরু হল এশিয়া- প্যাসিফিক বধির দাবা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ “””””””””””””””” উদ্বোধন করলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ রিয়াজ হোসেন খান পিপিএম। এডিশনাল এসপি পদে পদোন্নতি পাওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বরিশাল জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা: কাদের বানারীপাড়ায় ১৩ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ লম্পট গ্রেফতার আজ আকাশে দেখা মিলবে গোলাপী চাঁদ এক রাতেই ৮০ বার কাঁপলো তাইওয়ান! চুয়াডাঙ্গায় সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি ভোলায় পোস্ট অফিসে আইসক্রিমের ব্যবসা পটুয়াখালীতে মাদক অভিযানে গিয়ে ৩ পুলিশ সদস্য আহত চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ ও মোনাজাত
রিমান্ড আদেশ পাওয়া হাজতির রহস্যজনক মৃত্যু। আজকের ক্রাইম-নিউজ

রিমান্ড আদেশ পাওয়া হাজতির রহস্যজনক মৃত্যু। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক
কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান আজাদকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলায় মোস্তফা (২৫) নামের এক হাজতির কারাগারে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

তবে কারাগারে গলায় ফাঁস দেয়ার মতো কোনো অবস্থা বন্দিদের পক্ষে থাকে না বলে দাবি করেছেন কারাভোগ করে বের হওয়া বেশ কয়েকজন বন্দী। এ কারণে তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেল সুপার নেছার আহমেদ।

মারা যাওয়া হাজতি মোস্তফা কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার বশির আহমেদের ছেলে। তবে, তারা এলাকায় ‘রোহিঙ্গা’ বলে পরিচিত।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার নেছার আহমেদ জানান, মারামারি ও হত্যাচেষ্টার মামলায় গত ১৮ নভেম্বর মোস্তফা কারাগারে আসেন। এ মামলায় ২৯ নভেম্বর রিমান্ড শুনানি ছিল। আদালত তাকে একদিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেন। আদালত থেকে তাকে কারাগারে আনার পর তার কক্ষেই পাঠিয়ে দেয়া হয়। ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে পেয়ে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক হাজতি মোস্তফাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান জানান, সোমবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে মোস্তফা নামের এক বন্দীকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের আনার আগেই তিনি মারা যান। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার নেছার আহমেদ বলেন, ‘আমি ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে রয়েছি। এরপরও যেহেতু কারাগারে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার মতো কোনো দ্রব্য পাওয়ার কথা নয়, সেহেতু বন্দী মোস্তফার মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটিতে জেলার ইন্সপেক্টরকে নিয়ে, তারা বৃহস্পতিবারের (৩ ডিসেম্বর) মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। আরেকটি কমিটি করা হয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসককে প্রধান করে। তিনিও একই সময়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন।’

তিনি আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন মহলকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ হরিপুর এলাকার একটি সালিশ থেকে উঠে বাড়ি ফেরার পথে অতর্কিত আক্রমণের শিকার হন আসন্ন ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান আজাদ লুতু। তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। কোপ থেকে মাথা রক্ষা করতে গিয়ে তার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন প্রায়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তাকে কোপানোর ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ঘটনার পরই রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিত মোস্তফাকে স্থানীয়রা ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়। এরপর থেকে কারাগারের নিয়ন্ত্রণে তিনি চিকিৎসা নেন। সুস্থ হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019