২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ঝালকাঠিতে জেলের নৌকায় লঞ্চের ধাক্কা নৌকা ভেঙে চুরমার দুই জেলেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেঃ রেকর্ড, দামুড়হুদায় হিট স্ট্রোকে স্কুলের দপ্তরীর মৃত্যু প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি বৃহত্তর সিলেট জেলা অনলাইন প্রেক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড ঋণের চাপে দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যা! সংসদ সদস্যের গাড়িতে হামলা, যুবক আটক ঘোড়াঘাটে নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী কারাগারে ঘোড়াঘাটে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০
রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম জেনেও চুপ ছিল মন্ত্রণালয়। আজকের ক্রাইম-নিউজ

রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম জেনেও চুপ ছিল মন্ত্রণালয়। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক
রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা আর সেবার নামে ডাকাতি আরও একমাস আগেই এসব তথ্য জমা পড়েছিল মন্ত্রণালয়ে। লিখিতভাবে এসব অভিযোগের কথা জানিয়েছিলেন সেখানে নিয়োগ পাওয়া সরকারি চিকিৎসকরা। পরে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নিলেও শাহেদের রিজেন্টের বিপক্ষে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি মন্ত্রণালয়। যদিও এখন এসবের দায় নিতে চান না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রিজেন্টে অভিযানের পরে শাহেদনামায় প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন অধ্যায়।

আর সেই সঙ্গে জমাট বাঁধছে নানা প্রশ্ন।
এই করোনাকালে রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে সেখানে নিয়োগ দেয়া হয় বেশ কয়েকজন সরকারি চিকিৎসক। ১১ মে নিয়োগের দিনেই তাদের কাছে মৌখিক নির্দেশ আসে সেদিনই কর্মস্থলে যোগ দেয়ার।

মধ্যরাতে খোদ শাহেদই চিকিৎসকদের ফোন দেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয়ে। আর হাসপাতালে যোগদানের পরের অভিজ্ঞতা আরো ভয়াবহ।
জাতীয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, উনি আমাকে প্রথমেই পরিচয় দেন প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব হিসেবে। ডাক্তারদের সুরক্ষার ব্যাপারে, করোনা রোগীদের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়ার ব্যাপারে, কোনো কিছুতেই আমি অভ্যস্ত ছিলাম না। পরে জানতে পারলাম যে, এখানে এক্সরে মেশিন নাই, প্যাথলজিস্ট নাই; প্যাথলজির কোনো কাজকর্ম চলে না।

এরই মধ্যে শাহেদের বিশেষ চাহিদা মেটাতে আইসিউইতে তাৎক্ষণিক যোগদানের আদেশ পান এনেস্থেশিয়ার এক জুনিয়র কনসালটেন্ট। যদিও কাজ করতে গিয়ে দেখেন নামেই আইসিইউ। বাস্তবে সেখানে এমন সেবা দেয়ার ন্যূনতম সুবিধা ছিল না। ১৫ মে মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। তিন দিনের মধ্যে রিজেন্ট থেকে তুলে নেয়া হয় সরকারি সব চিকিৎসককে।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শরীফ সামিরুল আলম বলেন, আমি অ্যাপলিকেশন্স লিখেছি ওখানে দেখবেন যে, কোনো ডাক্তার ছিল না, কোনো নার্স ছিল না। সব মিলিয়ে আইসিইউ’র মতো সেটআপটা ওইখানে ছিল না।

এবার সমীকরণটা মেলানো যাক। যদি এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের রিজেন্টে নিয়োগের আদেশ তুলে নেয়া হয়। তবে চিঠিতে লেখা হাসপাতালের অনিয়মের বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নেয়নি মন্ত্রণালয়। সে সময় দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন দায় এড়ানোর কথা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) সিরাজুল ইসলামকে ফোন করে সময় সংবাদের পরিচয় দেয়ার পর তিনি বলেন, আমি এখন কথা বলবো না।

মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, তখন আমি প্রশ্ন তুললাম, বেসরকারি হাসপাতালে আমরা সরকারি ডাক্তার কেন দেবো? তখন আমাকে বলা হলো যে, ওইখানে তো ৩৯তম বিসিএস থেকেও কতজন ডাক্তারকে যেন পদায়ন করা হয়েছে।

সেখানে যে একটা ঝামেলা হচ্ছে সেটা তো আপনারা বুঝতে পারছিলেন, এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, না, ওটা আমি তখন বুঝতে পারিনি।

এদিকে এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আর অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক। তিনি রাজি হননি কথা বলতেও।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019