২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় রাতে বাবাকে নিতে আসতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ছেলের মুত্যু, দু’ বন্ধু মারাত্নক জখম বানারীপাড়ায় বসতঘরে লাগা আগুনে শতবর্ষী বৃদ্ধার করুন মৃত্যু ! বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ঝালকাঠিতে মৎস্য কর্মকর্তার ৩ ঘন্টার অভিযানে ১ লক্ষ টাকার অবৈধ জাল জব্দ বৃষ্টি প্রত্যাশায় ইস্তিস্কার নামাজে কাঁদলেন ঝালকাঠিবাসী দামুড়হুদায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে করণীয়” শীর্ষক সেমিনার আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বরিশালে মাদক মামলার রায়ে অভিযুক্ত খালাস, পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী নেতাদের নিয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা কে এম পি খালিশপুর থানা পুলিশের অভিযানে অনলাইন ডিজিটালাইজড প্রতারক চক্রের ২সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার।
বাংলাদেশের হাতে ১০ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র। আজকের ক্রাইম-নিউজ

বাংলাদেশের হাতে ১০ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক
আধুনিক বিশ্বে প্রায় সকল দেশ নিজ নিজ প্রতিরক্ষা খাতকে শক্তিশালী করেছে। এর ধারাবাহিকতায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। অত্যাধুনিক নানা যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত রয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী। বিশ্বে সমরাস্ত্রে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্র। বাংলাদেশের হাতেও রয়েছে এই অস্ত্র। বাংলাদেশের হাতে এখনো পর্যন্ত ১০ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
যুদ্ধ ক্ষেত্রে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে বসেই যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজ করে ক্ষেপণাস্ত্র। বর্তমানে বাংলাদেশ সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনী বেশ কয়েক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। এর মধ্যে রয়েছে, এন্টিশিপ মিসাইল বা ASHM, সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল বা SAM, এয়ার টু এয়ার মিসাইল বা AA মিসাইল এবং ATGM ও ম্যানপেড ঘরানার ক্ষেপণাস্ত্র। তবে বাংলাদেশের সামরিক বহরে এখনো যুক্ত হয়নি এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল।

তিন বাহিনীর মধ্য থেকে সবচেয়ে বেশী রেঞ্জ, কার্যকরী এবং সংখ্যার দিক থেকে মিসাইল ব্যবহারকারী ফোর্স হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এগিয়ে। বাংলাদেশের হাতে থাকা সর্বোচ্চ রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্রের (২১০ কি.মি) অধিকারী এই বাহিনী।
বাংলাদেশের হাতে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
১. OTOMAT_MKII_BLOCK_IV:
ইতালির কাছ থেকে ক্রয় করা এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বর্তমানে বানৌজা-বঙ্গবন্ধু ফ্রিগেটে ব্যবহার হচ্ছে। এই ফ্রিগেট রেডি টু ফায়ার মুডে ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করে। এবং আরো কিছু ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজে স্টোর করা থাকে, যা পরবর্তীতে ম্যানুয়ালি লোড করতে হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ রেঞ্জ ২১০ কিঃমি পর্যন্ত। এবং এটিই বাংলাদেশের হাতে সর্বোচ্চ রেন্জের ক্ষেপণাস্ত্র।
আরও পড়ুন: সৌদি-ইরান: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?
অটোমেট এমকে২ ব্লক৫:
২. C802A: নৌবাহিনীর বহরে থাকা C802A দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র। সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশের বহরে থাকা সর্বাধিক ক্ষেপণাস্ত্র এটি। চীনের তৈরী এই মিসাইলটি দেশে তৈরী যুদ্ধ জাহাজ থেকে শুরু করে অন্য দেশ থেকে আমাদানিকৃত যুদ্ধ জাহাজে ব্যাপকহারে ব্যবহার হচ্ছে। প্রায় প্রত্যেকটি ফ্রিগেট এবং স্বাধীনতা ক্লাস কর্ভেটে মিসাইলটি ইনস্টল করা আছে। C802A এর রেঞ্জ ১৯০ কি.মি পর্যন্ত। যেহেতু প্রতিবছরই নৌবাহিনী নতুন যুদ্ধ জাহাজ সংগ্রহ করে সে হিসেবে প্রতিবছরই নতুন করে C802A ক্ষেপণাস্ত্রও বহরে যুক্ত হচ্ছে।
৩. সি৮০২এ এবং মেনপ্যাড:
C704 এন্টিশীপ ক্ষেপণাস্ত্রটিও চীনের তৈরী। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দেশে তৈরী দূর্জয় ক্লাস লার্জ পেট্রোল ক্রাফট, ক্যাসল ক্লঅস কর্ভেট এবং মিসাইল বোটে ব্যবহার হচ্ছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ রেঞ্জ ৩৭ কি.মি।
৪. FM90 সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল। এটি দেশের তিন বাহিনীর হাতেই রয়েছে। এই সার্ফেস টু এয়ার মিসাইলের রেঞ্জ ১৫ কি.মি। এই রেঞ্জের মধ্যে বিমান, হেলিকপ্টার এবং মিসাইল ধ্বংস করতে পারে। এটি একটি শর্ট রেঞ্জ SAM সিস্টেম যার মুল কাজ গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনা,যুদ্ধ জাহাজ,বিমানঘাঁটির পয়েন্ট ডিফেন্স সুরক্ষা প্রদান।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-পাকিস্তান-ইরান: যুদ্ধের ময়দানে কে এগিয়ে?
৫. FL3000N চীনের তৈরী এই SAM এর ব্যবহারকারী বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ১০ কি.মি। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হল, সুপারসনিক মিসাইল ঠেকিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা। চীন থেকে নতুন ক্রয়কৃত Type056 কর্ভেটে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়।
৬. R27 এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। এটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বহরে থাকা সর্বোচ্চ রেঞ্জের এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। রাশিয়ার তৈরী এই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রধানত আমাদের MIG29 যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৮০ কি.মি দূরে থাকা প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করতে পারে।
৭. R73 এয়ার টু এয়ার মিসাইল। এটি রাশিয়ার তৈরী শর্ট রেঞ্জ ক্ষেপণাস্ত্রটি। এটি মূলত ৩০ কি.মি রেঞ্জের মধ্যে ডগ ফাইটে শত্রু বিমান ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।
আরও পড়ুন: সামরিক সক্ষমতায় কে এগিয়ে ভারত নাকি পাকিস্তান
৮. PL5 এয়ার টু এয়ার মিসাইল। চীনের তৈরী এই ক্ষেপণাস্ত্রটিও শর্ট রেঞ্জের। ডগ ফাইটে ১৬-১৮ কি.মি এর মধ্যে প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়।
৯. PL9C চীনের তৈরী শর্ট রেঞ্জ ক্ষেপণাস্ত্রও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্যবহার করে।
১০. এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশের হাতে বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের এন্টি ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র ও ম্যানপেড রয়েছে।
সূত্র: ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019