২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মো: মাইনুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার ::-
চুয়াডাঙ্গা জেলায় দর্শনার শ্যামপুর গ্রামের উত্তর পাড়ায় মরহুম উমর আলী সর্দারের পুত্র ফারুক হোসেন সর্দার (৪২) তার নিজ বাড়িতে গলায় রশি বেঁধে আত্মহত্যা করে।
উল্লেখ্য কয়েক বছর ধরে ফারুক হোসেন সর্দার(৪২) মানসিক রোগে ভুগছিল। মানসিক ভারসাম্যহীণতার কারণে পরিবারের লোকজনের উপর প্রায়ই চড়াও হয়ে থাকত এবং যার তার মেরে বসত। তার ভয়ে লোকজন বাড়ি শূন্য হয়ে পড়ে। শূন্যহীন বাড়িতে সে আনমানিক বেলা ২.২০ টার দিকে নিজেই নিজের গলায় রশি বেঁধে আত্মহত্যা করে। কিন্তু তার বড় ছেলে হঠাৎ বাড়িতে এসে বাবার কোন কথাবার্তা শুনতে না পেয়ে ঘরের দিকে গেলে দেখতে পায় তার বাবা রশিতে ঝুলছে। পরে লোকজনের ডাকাডাকি করে রশি কেটে নীচে নামানোর পর দেখতে পায় তার বাবা মৃত্যুবরণ করেছে। মৃত্যু সংবাদ চারিদিকে পৌঁছালে ফারুক সর্দারের মা, ভাই বোনেরা দ্রুত বাড়িতে পৌঁছিয়ে দেখে ফারুক সর্দার চিরনিদ্রায় শায়িত। ফারুক সর্দার মৃত্যুকালে তিন সন্তান রেখে যায়। সন্তানদের মধ্যে দুই ছেলে এবং এক মেয়ে। বড় ছেলে একটা দৌকানে চাকরি করে। ছোট ছেলে এবং মেয়ে নানা বাড়ি থেকে পড়াশোনা করে।
লাশ দাফন কার্য সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে ছোট ভাই
জসীম উদ্দিন সর্দার দর্শনা থানায় একটা দরখাস্ত করে যাতে থানা পুলিশ দ্রুত তদন্তের কাজ সম্পাদন করেন। ঘটনাটির সংবাদ “আজকের ক্রাইম নিউজে” পৌঁছালে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং পুলিশ, আজকের ক্রাইম নিউজের সাংবাদিক ও স্থানীয় জনগণ মিলে তদন্তের কাজ শেষ করেন। তদন্তের কাজে যে সকল পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন তন্মধ্যে ১) এস আই শামীম হাসান ২) এস আই তাইফুজ্জামান এবং ৩) এস আই গোপালচন্দ্র মন্ডল। করোনার ব্যাপক প্রকোপ চলাকালীন সময়ে পুলিশ সদস্যরা অতিদ্রুত লাশ তদন্তের কাজ সম্পন্ন করায় এলাকাবাসী তাদেরকে সাধুবাদ জানায়। একইসঙ্গে আজকের ক্রাইম নিউজের সাংবাদিককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে। সকল তদন্তের কাজ শেষে থানা পুলিশ লাশ দাফনের অনুমতি প্রদান করেন।