১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১২ অপরাহ্ন, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক:: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পোস্ট মাস্টারকে গুলি করে ৫০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মূলহোতা যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম সজীবের শ্বশুর ও শ্যালককে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের গোয়ালঘর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় সাড়ে ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত জানান, গত বুধবার (১০ জুন) বিকেলে কালিহাতী উপজেলার গান্ধিনা গ্রাম থেকে সজীবের শ্বশুর বিএনপি নেতা ইমান আলী এবং শ্যালক ইমরান নাজিরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইমান আলীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ওই বাড়ির গরুর খাবার রাখার একটি গোয়ালঘর থেকে বস্তায় রাখা সাড়ে ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সজীবের শ্বশুর ও শ্যালক ছিনতাইকৃত টাকা লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। পরে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) তাদের টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তারা দুজনেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তারা জানান, ঘটনার পর সজীব তাদের বাড়িতে ৩০ লাখ টাকা রেখে যান। পরে দুই দফায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা নিয়ে যান। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রূপম কুমার দাস জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করার পর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার ( ৮ জুন ) ডিবি পুলিশ এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কালিহাতীর ছাতীহাটি গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া (২৮), হাসড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে উমর গাজী (২৮) এবং বল্লা গ্রামের মৃত নুরুল হুদার ছেলে হুমায়ন কবিরকে (৩০) গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে উজ্জল মিয়া ও উমর গাজী ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে মঙ্গলবার (৯ জুন) আদালতে জবানবন্দী দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে কালিহাতী পোস্ট অফিস থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে মোটরসাইকেলযোগে বল্লা পোস্ট অফিসে যাওয়ার পথে পোস্ট মাস্টারকে গুলি করে ৫০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ২১ মে টাঙ্গাইল শহর থেকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তানজীদুল ইসলাম জিসানকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ছাত্রলীগ নেতা জিসান কালিহাতী উপজেলা যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজীবকে ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী বলে উল্লেখ করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় জিসান ও সজীবকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।