২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৪ অপরাহ্ন, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বি এম মনির হোসেন
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
সেই শিক্ষক ও ইমাম মোঃ শহিদুল ইসলামকে মাথায় টুপি পরিয়ে সম্মানিত করলেন বরিশাল পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম এর নিদের্শন ক্রমে বরিশাল জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক। গলায় জুতার মালা পরিয়ে তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে অপমানিত করা বরিশালের মেহেদিগঞ্জ উপজেলার দরিচর খাজুরিয়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারি মোঃ শহিদুল ইসলামকে মাথায় টুপি পড়িয়ে সম্মানিত করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
সোমবার ৮ জুন বিকেলে বরিশাল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দরিচর খাজুরিয়ায় গিয়ে তাকে এই সম্মান প্রদর্শন করেন। এ সময় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে টুপি, পাঞ্জাবী, পায়জামা দেয়া হয়। মোঃ শহিদুল ইসলাম ও এলাকাবাসী এজন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক বলেন আল্লাহ যাকে সম্মানিত করেন কেহই তাকে অসম্মানিত করতে পারেনা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেলেন। এ সময় সেখানে তারা বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর আগে শহিদুল ইসলাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হককে জানিয়েছিলেন তার টুপি ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে এবং গায়ের পাঞ্জাবী ছিড়ে ফেলা হয়েছিল। এই জন্যই তাকে এসব উপহার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
তিনি আরো জানান, ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আজ আরো ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হলো চৌকিদার নান্নু কবিরাজ ও ভিডিও চিত্র ধারনকারী হাবিব সিকদার। এই নিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা মোবাইলে আসাকে কেন্দ্র করে গত ৩ জুন সালিশ বিচারের নামে মেহেন্দিগঞ্জের দরিচর খাজুরিয়া দাখিল মাদরাসার সামনে দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা রাঢ়ি ও তার সহযোগীরা জুতার মালা পরিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে।
পরদিন ওই ঘটনায় শহিদুল ইসলাম থানায় মামলা দায়ের করলে প্রধান আসামি মোস্তফা রাঢ়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ।সোমবার ৮ জুন বিকেলে মেহেন্দিগঞ্জের দরিচর খাজুরিয়া দাখিল মাদরাসা ও দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক, সাংবাদিক বি এম মনির হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার), মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবিদ হোসেন, ওসি তদন্ত মোঃ মুরাদ হোসেন, থানার অফিসার ও এলাকার জনগণ।