২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ঘোড়াঘাটে নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী কারাগারে ঘোড়াঘাটে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০ রাত ১টার মধ্যে তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা, হুঁশিয়ারি সংকেত পুড়ে ছাই আইসিইউ, অসংখ্য যন্ত্রপাতির ক্ষতি চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ রেকর্ড,হিট ওয়েভের সতর্কবার্তা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট দেশে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি গাড়ি-বাড়ি নিয়ে শো-অফ, ভুয়া ভিসা বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি মামুন বানারীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ফুলেল শুভেচ্ছায সিক্ত মেনন
অ্যাকাউন্ট খুলতে ৫০০ টাকা নেন ইউপি চেয়ারম্যান, তদন্তে প্রমাণিত

অ্যাকাউন্ট খুলতে ৫০০ টাকা নেন ইউপি চেয়ারম্যান, তদন্তে প্রমাণিত

অনলাইন ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণের আগেই বগুড়ার শিবগঞ্জে ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান এসএম রূপম মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা বিকাশে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার নামে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। নিজের লোক দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ‘ট্যাক্সের নামে’ রশিদ মূলে প্রতিজনের কাছ থেকে ২৮০ ও সিমের মূল্য বাবদ ২২০ টাকা করে নেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মোজাহিদ সরকারের দাখিল করা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবিরের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি।
ইউএনও আলমগীর কবির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে সুপারিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’
আলমগীর জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রূপম ‘রাহী টেলিকম’ নামের একটি মোবাইলের দোকানের সঙ্গে যোগসাজস করে সিমের মূল্য হিসেবে ২২০ টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্সের নামে রশিদ মূলে প্রতিজনের কাছ থেকে ২৮০ টাকা করে মোট ৫০০ টাকা আদায় করেন। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে এই টাকা আদায় করা হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোরগোল বাধলে অর্ধেকের বেশি মানুষকে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়। তবে এখনো অনেকেই সেই টাকা ফেরত পাননি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে কর্মহীন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে এককালীন নগদ আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জনপ্রতিনিধিরা এসব দরিদ্রের তালিকা তৈরি করেন। বগুড়া জেলার অন্য স্থানের মতো শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান এসএম রূপমও তার ইউনিয়নের ৫০৬ জনের তালিকা তৈরি করেন। বিকাশ হিসাব খুলে দেওয়ার নামে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে সিমের ২২০ টাকাসহ ইউপি চেয়ারম্যান তার নিজের লোক দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্সের নামে রশিদ মূলে প্রতিজনের কাছ থেকে ২৮০ টাকা করে আদায় করেন।
ধারদেনা করে ১৬৫ জন দুস্থ ওই দোকান থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে বিকাশ হিসাব খোলেন। এদিকে চেয়ারম্যানের এ টাকা আদায়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সচেতন মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
এ ব্যাপারে জানতে আজ ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রূপমের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এর আগে গত রোববার ‘প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার : অ্যাকাউন্ট খুলতেই ৫০০ টাকা নিলেন চেয়ারম্যান! (ভিডিও)’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তখন এ বিষয়ে কথা হলে আমাদের সময়’র কাছে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন রুপম। তিনি বলেছিলেন, ‘অনেক দিন ধরেই ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স বকেয়া ছিল। কেউ দিতেও চায় না। পরিষদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। এজন্য ইউপি সচিবের সঙ্গে পরামর্শ করে ট্যাক্স আদায়ের জন্য ডিডি এলজির রশিদ মূলে ২৮০ টাকা আদায় করা হয়েছে। তবে করোনাকালে ট্যাক্স আদায় করা ঠিক হয়নি। এটা আমার ভুল হয়েছে। পরে সবার বিকাশ অ্যাকাউন্টে ২৮০ টাকা করে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’
তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। ভিডিওতে কথা বলা নারী, রাহী টেলিকমের মালিক ও ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে পৃথকভাবে একাধিকবার কথা বলে হয়েছে। তদন্তের কাজ সম্পন্ন করে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019