০৫ মে ২০২৪, ০৫:১২ অপরাহ্ন, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান কাবিননামায় দেনমোহর নিয়ে প্রতারণা, স্ত্রী গ্রেফতার গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
বরিশাল প্রেসক্লাব নির্বাচনে নতুন চমক আসছে। আজকের ক্রাইম নিউজ

বরিশাল প্রেসক্লাব নির্বাচনে নতুন চমক আসছে। আজকের ক্রাইম নিউজ

নিউজ ডেস্ক:: রাত পোহালে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ শেষেই জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটবে কারা হচ্ছেন সাংবাদিক নেতা। নির্বাচনে অংশগ্রহণে দুটি প্যানেল ইকবাল-মুরাদ এবং মানব-জাকির পরিষদের মধ্যে হাড্ডহাড্ডি লড়াইয়ে শুধু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নয় এবার অন্যান্য পদেও আকর্ষণ ছড়াচ্ছে বিশেষ ব্যক্তিরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায়। উভয় পরিষদেই রয়েছে ক্লিন ইমেজ ও নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্যতাপূর্ণ সংবাদকর্মী

তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদকে ঘিরেই এই নির্বাচনে টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে উভয় পরিষদের প্রার্থীরা। কেউ কারও থেকে কম নন, এমন সমীকরণে এসএম ইকবাল হোসেন ও মানবেন্দ্র ব্যাটবল এই দুই নেতার মধ্যে সভাপতির পদে কে আসছেন তা আগাম অনুমান করা দুরুহ হয়ে পড়েছে। তদরুপ মুরাদ আহম্মেদ ও এসএম জাকির হোসেন উভয়ে মধ্যে সু-সম্পর্ক এবং একই ঘরনার লোক হওয়ায় এক্ষেত্রে কে কাকে ছাড় দেবে তা নিয়ে মিডিয়াকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য মুরাদ আহম্মেদ অপেক্ষা এসএম জাকিরের বয়স ও পেশার ক্ষেত্রে ব্যবধান থাকায় এই দুই নেতার লড়াই শেষ পর্যন্ত সিনিয়র জুনিয়রের মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে পারে। এসএম জাকির গত নির্বাচনে বিজয় লাভ করে চমক সৃষ্টি করেছিলেন। দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নেতৃত্বে রয়েছেন। এই সময়কালে সংবাদকর্মীদের নানা দুযোর্গে তাকে পাশে দেখা গেছে। পাশাপাশি মিডিয়াকর্মীদের কাছাকাছি আসতে সক্ষম হয়েছেন।

অপরদিকে মুরাদ আহম্মেদ প্রেসক্লাব রাজনীতিতে দীর্ঘকাল জড়িত এবং ইতিপূর্বে একাধিকবার নেতৃত্বে ছিলেন। তার দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রশ্নাতীত। সবকিছু মিলিয়ে মুরাদ ও জাকিরের মধ্যে কে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসতে যাচ্ছেন তার অংক মেলাতে কিছুটা রহস্যের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। জটিত করে তুলেছে সভাপতির পদ। মানবেন্দ্র ব্যাটবল ও এসএম ইকবাল সমসাময়িক কালের সাংবাদিক এবং উভয়ে আইনজীবী পেশায় জড়িত থাকলেও দৃষ্টিভঙ্গি অভিন্ন। উভয়ের পথচলাও এক। অনুসারী সমর্থকেরা অভিন্ন নয়। সুতরাং এই দুইজনের মধ্যে কাকে ভোটাররা বেচে নেবেন তা রাতের গভীরতা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। এবারের নির্বাচনে উভয় পরিষদ এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন এক আকাশে সব তারার মেলা, কাউকে ভিন্ন করা যাচ্ছে।

এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সংবাদকর্মীরা জানান, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদগুলোতে দুই ধারার লোক উভয় পরিষদে স্থান নিয়েছে। অর্থাৎ নীতিগতভাবে এক কাতারে ছিলেন তারা নির্বাচনে এসে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন, পরস্পরবিরোধী প্যানেলে প্রার্থী হয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। উদাহরণস্বরুপ বলা যেতে পারে- মনিরুল আলম স্বপন ও মন্টু অভিন্ন নীতি আদর্শের সাংবাদিক এবং ইতিপূর্বে একই পরিষদে প্রার্থী হয়ে বিজয় লাভ করেছিলেন। এবার তারা দুই মেরুতে অবস্থান করছেন। এ ধরনের আরও একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।

নির্বাচনে ব্যকিক্রমতা হচ্ছে- সাধারণ সম্পাদক পদে একজন নারী প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এই প্রার্থী পরিচিত মুখ চ্যানেল আই’র বরিশাল প্রতিনিধি শাহীনা আজমিন। গত নির্বাচনেও তিনি অভিন্ন পদ ও কায়দায় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। প্রয়াত সাংবাদিক মাইনুল হোসেনের স্ত্রী শাহীনা আজমিন নেতৃত্বের নতুনত্ব আনার শ্লোগান নিয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ব করতে চাইছেন। এবারে নির্বাচনে একটি মাত্র পদ সহ-সম্পাদক হিসেবে মিজানুর রহমানের প্রতিদ্বদ্বি না থাকায় বিনা ভোটে জয়লাভ করে নিরাপদে রয়েছেন।

একাধিক ভোটারের অভিমত- নির্বাচনে চমক হিসেবে নতুন পুরানো সমন্বয়ে নয়া নেতৃত্ব সৃষ্টি হতে পারে। কোন এককভাবে সংখ্যাগরিষ্টতা না পাওয়ার সম্ভবনাই বেশি।

নির্বাচনী মাঠে গুঞ্জন রয়েছে প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব বা বিশেষ পদে পরিবর্ত আনতে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনেও নানা হিসেব নিকাশ চলছে। ক্ষমতাধর কেউ কেউ নেপথ্যে থেকে বিশেষ প্রার্থীদের পরোক্ষভাবে সহায়তা দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে নির্বাচন নিয়ে নানামুখী গুজব রটেছিল। নির্বাচন কমিশন তা নাকচ করে দিয়ে সতর্ক করেছেন। যদ্দুর জানা গেছে- নির্বাচন প্রাক্কালে ভোটার ব্যতিত কেউ প্রেসক্লাবে অবস্থান নিতে পারবে না। তবে দুই প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ চারজন ভোট গণনাকালে উপস্থিত থাকার অনুমতি পেয়েছেন। শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশেল সহায়তা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের রাতে জমে উঠেছে লড়াই। উভয় পরিষদের প্রার্থীরা যে যার মতো ভোটরদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019