০৫ মে ২০২৪, ০৩:৫১ অপরাহ্ন, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক এমএ গফুর ইন্তেকাল
মাদরাসার ভেতরে গাঁজা সেবন, বাধা দেয়ায় নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা।

মাদরাসার ভেতরে গাঁজা সেবন, বাধা দেয়ায় নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা।

আজকের ক্রাইম ডেস্ক :: বগুড়ার শাজাহানপুরে জয়নাল আবেদীন (৭০) নামে মাদরাসার এক নৈশপ্রহরীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে তানভিরুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাদরাসার বারান্দায় গাঁজা সেবনে বাধা দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি।

শনিবার (২৯ মে) বিকেলে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার তানভিরুল ইসলাম শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর উত্তরপাড়ার মিঠু মিয়ার ছেলে এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মাতৃভূমির খবর নামের একটি পত্রিকার বগুড়া জেলা সংবাদদাতা।

জিজ্ঞাসাবাদে তানভিরুল ইসলাম পুলিশকে জানান, তিনি প্রায় রাতেই সাজাপুর উত্তরপাড়া দাখিল মাদরাসার অভ্যন্তরে গাঁজা সেবন করতেন। নৈশপ্রহরী জয়নাল আবেদীন তাকে নিষেধ করে আসছিলেন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদরাসার ভেতরে গাঁজা সেবন করছিলেন তিনি। বিষয়টি টের পেয়ে নৈশপ্রহরী তাকে গালিগালাজ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তানভিরুল তাকে ধাক্কা দেন। নৈশপ্রহরীও তানভিরকে থাপ্পড় দিয়ে তার ঘরে যায় ঘুমাতে। সঙ্গে সঙ্গে তানভির ঘরে ঢুকে তার পেটে ছুরিকাঘাত করেন এবং ছুরি দিয়ে গলা কেটে দেন।

এরপর মাদরাসার পার্শ্ববর্তী পুকুরে চাকু ফেলে দিয়ে পুকুরের পানিতে হাত-মুখ পরিষ্কার করে বাড়িতে চলে যান। বাড়ি গিয়ে গোসল করে ঘুমিয়ে পড়েন।

পরদিন শুক্রবার (২৮ মে) নৈশপ্রহরী খুনের খবর জানাজানি হলে গ্রামের লোকজনের সঙ্গে মাদরাসায় মরদেহ দেখতে যান তানভির। তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গলায় আইডি কার্ড ঝুলিয়ে মরদেহের ভিডিও ধারণ শুরু করেন।

সেখানে উপস্থিত অন্যান্য সাংবাদিকরা তথ্য নিয়ে চলে গেলেও তানভির পুলিশের পিছু ছাড়ছিলেন না। তিনি সব কর্মকাণ্ড ভিডিও ধারণ করছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে পুলিশের আরেকটি দল মাদরাসা চত্বরে গেলে তানভির সেখানে উপস্থিত হয়ে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকার কয়েকজন মাদকসেবীর নাম ঠিকানা দিয়ে পুলিশকে জানান তারা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তানভীরের অতি উৎসাহী আচরণে পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়।

তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ আরও তিন যুবককে আটক করে। রাতে পুলিশ চারজনকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তানভীর হত্যার সঙ্গে নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019