০৬ মে ২০২৪, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান কাবিননামায় দেনমোহর নিয়ে প্রতারণা, স্ত্রী গ্রেফতার গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
লতিফ সিদ্দিকীর কাছ থেকে উদ্ধার করা জমিতে শেখ রাসেল শিশু পার্ক। আজকের ক্রাইম-নিউজ

লতিফ সিদ্দিকীর কাছ থেকে উদ্ধার করা জমিতে শেখ রাসেল শিশু পার্ক। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক

টাঙ্গাইলে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী অবৈধভাবে দখলে রাখা ৬৬ শতাংশ উদ্ধার করা জমিতে শিশু পার্ক করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। পার্কটি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের নামে টাঙ্গাইল শেখ রাসেল শিশুপার্ক নামকরণ করার প্রস্তাবনা করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন বুধবার জেলার বিভিন্নস্তরের মানুষের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে।

রবিবার শহরের জেলা সদর সড়কের আকুর টাকুর পাড়ায় সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সাবেক সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর দখলে থাকা প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের দুই বিঘা (৬৬ শতাংশ) জমি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে জেলা প্রশাসন।

এ সময় ওই জমিতে লতিফ সিদ্দিকীর নির্মিত স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। উদ্ধার করার পর জমিটিতে লাল নিশান এবং এটি “ক” তালিকাভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি বলে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গণি জানান, উদ্ধার করা জমিতে শেখ রাসেলের নামে একটি শিশু পার্ক করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বুধবার মতবিনিময় সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ১৯৭২ সালে সরকারের কাছ থেকে ওই জমিটি ইজারা নেন। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি ইজারার টাকাও পরিশোধ করেন। এরপর দীর্ঘসময় তিনি ইজারার টাকা পরিশোধ না করে সাব-জজ আদালতে মালিকানা দাবি করে মামলা করেন। মামলার রায় লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে যায়।

পরে জেলা জজ আদালতে সরকার পক্ষ আপিল করে, সেখানেও লতিফ সিদ্দিকী ডিক্রি প্রাপ্ত হন। পরে সরকার পক্ষ হাই কোর্টে রিভিশন মামলা করেন, সেখানে লতিফ সিদ্দিকী হেরে যান।
পরে লতিফ সিদ্দিকী হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন। সেখানে সরকার পক্ষ ডিক্রি প্রাপ্ত হন। লতিফ সিদ্দিকীকে ওই জমির ওপর তার নির্মিত স্থাপনা অপসারণের জন্য গত ৩১ ডিসেম্বর প্রশাসন নোটিশ দেয়।

নোটিশ পাওয়ার পরও তিনি স্থাপনা অপসারণ না করায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে জমি উদ্ধার করা হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019