২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
মধুদা’র ভাস্কর্যের কান ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা, রাতেই মেরামত। আজকের ক্রাইম-নিউজ

মধুদা’র ভাস্কর্যের কান ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা, রাতেই মেরামত। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক

ছাত্র রাজনীতির আতুরঘর খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের পাশে স্থাপিত মধুদার আবক্ষ ভাস্কর্যের বাম পাশের কান বুধবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা অবস্থায় পাওয়া যায়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবহিত হলে মধ্যরাতেই সেটি মেরামত করা হয়। তবে এটি কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ঘটিয়েছে কিনা- এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কেউই কিছু জানাতে পারেনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাস্কর্যটির বাম পাশের কান সিমেন্ট দিয়ে মেরামত করা হয়েছে।

তবে এতে স্পষ্ট কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
মধুর ক্যান্টিনের পরিচালক অরুণ কুমার দে বলেন, গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় আমি ভাষ্কর্যের কান ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পাই। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর ও পুলিশকে জানাই। পরে রাত সাড়ে বারোটার দিকে প্রক্টরিয়াল টিম মিস্ত্রি নিয়ে এসে ভাঙ্গা কানটি ঠিক করে।

তিনি জানান, কীভাবে এটা ভেঙেছে, এটা বুঝতে পারছি না।
তবে ক্যান্টিনের কর্মচারীরাই এটা মেরামত করেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী। তিনি জানান, এমন একটি তথ্য রাতেই আমাদের কাছে এসেছিলো। পরে ক্যান্টিনের লোকেরাই কানটি পূনঃস্থাপন করেছে।

বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা- সেটা তদন্ত করতে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মধুদা’র প্রকৃত নাম ‘মধুসূদন দে’। তিনিই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থিত মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে জগন্নাথ হল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করে। মধুদার স্মৃতির স্মরণে ‘মধুর ক্যানটিন’ এর নামকরণ করা হয়।

‘মধুসূদন দে স্মৃতি ভাস্কর্য’টি মধুর ক্যানটিনের একটি দরজার পাশেই অবস্থিত। ভাস্কর্যটির ভাস্কর তৌফিক হোসেন খান। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমদ ভাস্কর্যটির প্রথম উদ্বোধন করেন। বর্তমান অবস্থানে ভাস্কর্যটির পুনর্নির্মাণের পর ২০০১ সালে এটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019