০৬ মে ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ঝালকাঠি জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে “প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন প্রচার প্রকল্পে “ দর্শনার মাদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় অভিভাবক সম্মেলন,নাজেরা ও হিফ্জুল কুরআান বিভাগের ক্লাস উদ্বোধন বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড় ও কালবৈশাখীর আশঙ্কা বরগুনায় ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে আনসার সদস্যের আত্মহত্যা আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান কাবিননামায় দেনমোহর নিয়ে প্রতারণা, স্ত্রী গ্রেফতার গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ
ঝালকাঠিতে গৃহবধুর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ হত্যাকারী স্বামী ইউপি সদস্যর গ্রেফতার দাবি। আজকের ক্রাইম-নিউজ

ঝালকাঠিতে গৃহবধুর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ হত্যাকারী স্বামী ইউপি সদস্যর গ্রেফতার দাবি। আজকের ক্রাইম-নিউজ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : প্রেস ক্লাবের সামনে এক গৃহবধুর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পিতামাতা আত্মীয় স্বজন। শুক্রবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ওই গৃহবধুকে তার স্বামী ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করে তাকে গ্রেফতার দাবি এবং রাজাপুর থানার ওসি হত্যাকারীর পক্ষ নিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। নিহত গৃহবধুর নাম রুনা লায়লা (২৮)। গত বৃহস্পতিবার বিকালে তার স্বামী রাজাপুর শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে রাজাপুর থানা পুলিশ। ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবিবুল্লাহ ও এম.এম মাহমুদ হাসান সুষ্ঠু বিচার ও ওই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতারের আশ্বাষ দিলে বিক্ষোভকারীরা লাশ গ্রামের বাড়ি রাজাপুর উপজেলার ডহর শংকর গ্রামে নিয়ে যায়।
নিহত গৃহবধূর বড় ভাই মিজানুর রহমান জানান, তার ছোট বোন রুনা লায়লার দশ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের মজিবর হাওলাদারের ছেলে আব্দুল কুদ্দুসের সাথে। বিয়ের পর রুনা লায়লার ঘরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ের জন্ম হয়। মেয়ের নাম প্রমি বর্তমানে বয়স ৫ বছর। আর ছেলের নাম আরাফাত বয়স দুই বছর। নিহত গৃহবধুর বাবা আমির হোসেন গাজী অভিযোগ করেন, তার মেয়ে জামাই কুদ্দুস মেম্বর ইলেকশন করার সময় তার ছেলের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। আবার এখন এলাকায় ত্রান বিতরণ করবে তার জন্য আমার মেয়ের মাধ্যমে ছেলে মিজানের কাছে আবারও দুইলাখ টাকা দাবি করে। আমার ছেলে টাকা দিতে অস্বীকার করলে এ বিষয় নিয়ে মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু করে কুদ্দুস। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জেনেছি গত বৃহস্পতিবার বিকালে কুদ্দুস এবং তার ছোট ভাই মিল্টন দুজনে মিলে আমার মেয়ে রুনা লায়লাকে প্রচন্ড শারিরীক নির্যাতন করার পরে শাষরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পরে লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। ময়না তদন্তের পরে লাশ গোসল করানোর সময় আমার মেয়ের পিঠে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে। আমরা রাজাপুর থানার ওসিকে হত্যা মামলা নেয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করলেও তিনি হত্যা মামলা না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করেছেন। রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ইউপি সদস্যর বাড়ি থেকে তার স্ত্রী রুনা লায়লার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউডি মামলা দায়ের করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এখন ওই গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে যদি হত্যার অভিযোগ আনা হয় তাহলে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসুক আমরা তদন্ত করে দেখবো। যদি নতুন করে কোন অভিযোগ নাও দেয়, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে যদি হত্যার অভিযোগ আসে তাহলে ইউডি মামলাই হত্যা মামলায় পরিনত হবে। নিহতের ভাই মিজানুর রহমান ওসির বক্তব্য প্রত্যাখান করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আসামী পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রাজাপুর থানার এসআই মো. শাহজাদা সরদার জোড় পূর্বক আমার শোকাহত বাবার স্বাক্ষর নিয়ে ইউডি মামলা করেছে। আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যার বিচার চাই।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019