০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, ৮ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :ঝালকাঠি পৌরসভা খেয়া ঘাটের মাঝিরা সংবাদ সম্মেলন করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঝালকাঠি শহরের একটি অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেমায়েত হোসেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি শনিবার থেকে আজ পর্যন্ত মোঃ বাদল বিশ্বাস ও আমিরুল বিশ্বাস এর সন্ত্রাসি বাহিনির হাতে লাঞ্চিত হয়ে গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন। তাই আমরা পৌরসভা খেয়াঘাটের ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ ২৩১৭ খুলনা) এর ২৪ জন মাঝি দীর্ঘ দিন যাবৎ সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ঘাট পরিচালনা করি। জনগনের এ যাবৎ কোন অভিযোগ নাই। কিন্তু গত ১৮ জানুয়ারি কতিপয় দুর্বৃত্ত ঘাটে গিয়ে ট্রলার শ্রমিকদের কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় ট্রলার শ্রমিকদের বেদম মারপিট করে। ট্রেড ইউনিয়নের অফিস ভাংচুর করে এবং ট্রলার ও অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। যা এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু ১৮ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সেই চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীরা খেয়া ঘাট বন্ধ করে জনগনেকে খেয়া পারাপারে বাধাঁ দেয় এবং অটো, ভ্যান, মটর সাইকেল সহ যাবতীয় যানবাহন বন্ধ করে রাস্তা ঘাটে সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমণ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে সাধারণ জনগনকে খেয়া পারাপার করতে দিচ্ছে না। বর্তমানে পৌরসভার ইজারাকৃত খেয়াঘাটের পাশেই অবৈধ ভাবে একটি নতুন খেয়াঘাট নির্মাণ করতেছেন যা আইন বহিভূর্ত । জনগনের বাজারঘাট ও মালামাল বহনে দুর্ভোগ ও সাধরণ জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। তাই ঝালকাঠি বিভিন্ন মহলে এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে আমরা মাঝিরা ঘাটের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে পাই এবং ছেলে মেয়ে নিয়ে ডাল ভাত খেয়ে বেচে থাকার জন্য ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন মহলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মো. এনায়েত মুন্সি, সদস্য মো. বাচ্চু বেপারী। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন,‘ পৌরসভা খেয়া ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিবাদমান দুটি দলের মধ্যে গত তিন দিন যাবৎ ঝামেলা চলছে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষ মৌখিক ভাবে থানায় অবহিত করেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।