১৮ মে ২০২৪, ০৫:১০ অপরাহ্ন, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লালমোহন প্রতিনিধি : দীর্ঘ ৫ বছর পালিয়ে থাকার পর র্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক ও লালমোহন বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ভাস্কর চন্দ্র দাস। সোমবার (২৯ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় বরিশাল শহরের চকবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে, লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে স্বর্ণ বন্ধকী সংক্রান্ত লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমান ঋণ নিয়ে ২০১৯ সালের ৯ই এপ্রিল লালমোহন থেকে গা-ঢাকা দেন ভাস্কর। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ৮টি মামলার ওয়ারেন্ট হয়। এর মধ্যে ৩টি মামলার সাজাও রয়েছে বলে জানিয়ছে পুলিশ ।
জানা গেছে , ভাস্কর লালমোহন বাজারে জুয়েলারী ব্যবসার পাশাপাশি ২০১২ সালে লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষক পদে চাকরি নেন। এর পর থেকে লালমোহনে তার কোনো অস্তিত্ব না থাকলেও স্কুলের খাতায় তিনি হাজির ছিলেন প্রায় অর্ধেক সময় ধরে। নিয়েছেন সেই সময়ের প্রতি মাসের বেতনও। ভুয়া মেডিকেল প্রেসক্রিপশন দিয়ে তার দীর্ঘ সময়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও অদৃশ্যকারণে তার বিরুদ্ধে কেউই ব্যবস্থা নেয়নি।
২০১৮ সালের মে মাসে বিদ্যালয়টি জাতীয় করনের পর তার বেতন স্থগিত হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে এই দীর্ঘ অনুপস্থিতির জন্য ভাস্করকে নোটিশও করা হয়নি বলে জানা গেছে।
লালমোহন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকারী বেতন লিষ্টে তার নাম নেই। ৫ বছর অনুপস্থিতির কারনে ভাস্করকে কোনো কারন দর্শানো চিঠি দেয়া হয়েছিল কিনা তা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন ফাইল থেকে নিশ্চিত হতে হবে।
লালমোহন থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, ভাস্করের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণ খেলাপীর কারনে ২০১৮ সালে ১টি, ২০১৯ সালে ৪টি এবং ২০২০ সালে ১টি মামলা হয় এবং এসব মামলার ওয়ারেন্ট হয়। এ ছাড়া ৬টি মামলার মধ্যে ৩টি মামলায় তার সাজা হয়। ওসি এনায়েত হোসেন আরো জানান, ভাস্করের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে লালমোহনের বিভিন্ন লোকজন স্বর্ণ বন্ধকীকরণ সংক্রান্ত টাকা ফেরৎ পাওয়ার জন্য থানায় আসতে থাকে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।