১৯ মে ২০২৪, ০৬:১১ অপরাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পরই এমন পদক্ষেপ নিল ব্রিটিশ সরকার। খবর বিবিসি।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ওয়াগনারকে নিষিদ্ধ করার আদেশ অনুমোদন করেছে ব্রিটিশ সরকার। সরকারের এমন পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাজ্যে ওয়াগনারের সদস্য হওয়া বা একে সহায়তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। আর এ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে নাগরিকদের জরিমানা গুণতে হতে পরে। এমনকি ১৪ বছরের জেলও হতে পারে।
এর আগে গত সপ্তাহে বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি অভিহিত করে ওয়াগনারকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পেশ করেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান।
গতকালের সরকারি আদেশের পর তিনি বলেন, ক্রমাগত অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ওয়াগনার ক্রেমলিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে। তারা সন্ত্রাসী, এটা খুব সহজ হিসাব। এই নিষেধাজ্ঞার আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের আইনে এটিও আর পরিষ্কার হলো।
যুক্তরাজ্য এ পর্যন্ত ৭৮টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে হামাস ও বোকো হারাম রয়েছে। এ তালিকায় সবশেষ ওয়াগনার যুক্ত হলো।
মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় রাশিয়ায় স্বার্থ রক্ষায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে ওয়াগনার। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেও দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করেছে ওয়াগনার সেনারা। এমনকি ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী।
তবে রুশ সামরিক নেতাদের প্রতি অসন্তোষ থেকে গত ২৩ জুন বিদ্রোহের ঘোষণা দেন প্রিগোজিন। যদিও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সেই বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন তিনি। এ বিদ্রোহের পর পুতিনের চক্ষুশূলে পরিণত হন প্রিগোজিন। এ বিদ্রোহের দুই মাস পর গত ২৩ আগস্ট মস্কোয় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রিগোজিন।
এ ঘটনায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত থাকতে পারে বলেও অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমারা। যদিও তারা এ দাবির বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।