২৫ Jun ২০২৫, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, ২৮শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ১২ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ মনির হোসেন ঝালকাঠি : ঝালকাঠিতে এক পরিবারের তিন সদস্যকে খাবারের সাথে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে নগদ ১৭ হাজার টাকা ও প্রায় ৭০ হাজার টাকার স্বর্ণ অলংকার নিয়ে পালিয়ে গেছে চোর।
গতকাল ১৩ই অক্টোবর রোববার গভীর রাতে সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অচেতন অবস্থায় সোমবার সকালে কাওছার হোসেন (২৬) পিতা আফজাল হোসেন, ফাতেমা (৫৪) স্বামী আফজাল হোসেন ও কাওছার হোসেনের ছেলে তাহুজাইফা (৪) কে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কাওছার হোসেন জানায়, রাত এগারোটার দিকে আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত আনুমানিক একটার দিকে ঘরের দরজা ভাঙার শব্দ পেয়ে আমার স্ত্রী ইসরাত জাহান ইভা ডাক চিৎকার দেয়। আমরা অচেতন থাকায় কিছুই টের পাইনি। আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে চোরের দল পালিয়ে যায়। তিনি বলেন রাতে খাবারের সাথে যারা ডাল খেয়েছে সবাই অচেতন হয়েছে। শুধুমাত্র আমার স্ত্রী ডাল খায়নি তাই সে সুস্থ রয়েছে।
কাওছার হোসেনের পিতা আফজাল হোসেন জানান, চোরেরা নগদ ১৭ হাজার টাকা একজোড়া কানের দুল এবং একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে গেছে। স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা সহ আমাদের প্রায় এক লক্ষ টাকার মালামাল চোরে নিয়েছে।
কাওছার হোসেনের মা ফাতেমা বেগম বলেন জানলার পাশে ডালের পাত্র ছিল হয়তো কেহ আমাদের অজান্তে ডালের ভিতরে কোন ঔষধ দিয়েছে আমরা ভাত খাওয়ার পরে সকলে অচেতন অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ি এরপর কি হয়েছে আমি বলতে পারি না।
সদর হাসপাতালের আরএমও টিএম মেহেদী হাসান সানি বলেন, অচেতন অবস্থায় সকালে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে একি পরিবিরের তিন সদস্যকে ভর্তি করা হয়। ধারনা করা হয় তাদের হয়তো চেতনানাষক ঔষধ খাওয়ানো হয়েছে। এখন তারা সকলেই আসঙ্কামুক্ত সুস্থ আছে।
খবর পেয়ে ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে অফিসার্স ইনচার্জ ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, ঘঠনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।