৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন, ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
সিলেটে রাতে বৃষ্টি, দিনে অসহ্য গরম নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কোন প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান কিংবা পক্ষপাতিত্ব করলে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা- চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আহসান হাবিব ঝালকাঠিতে যানবাহন থেকে ক্ষতিকর এলইডি লাইট অপসারণের অভিযান চালাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ বানারীপাড়ায় বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ৫ নেতা-কর্মী খালাস নলছিটির মাদক সম্রাট খলিল পুলিশের হাতে আটক রাজাপুরে বাস চাপায় মোটর সাইকেল আরোহী নিহত চুয়াডাঙ্গার জীবননগর মনোহরপুরে মেলার নামে চলছে জুয়া,মোটা অংকের টাকার মিনিময়ে অবৈধ সব বৈধ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রী সেঃ রেকর্ড, বানারীপাড়ায় ইতালি প্রবাসীর পক্ষ থেকে তীব্র তাপদাহে পানি ও স্যালাইন বিতরণ পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ঝুঁকিপূর্ণ! সংরক্ষণের জন্য এর জরিপ করা প্রয়োজন-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
মহাজোট থেকে বের হয়ে জাতীয় পার্টি সংসদ নির্বাচনে ৩’শ আসনে প্রার্থী দিবেন

মহাজোট থেকে বের হয়ে জাতীয় পার্টি সংসদ নির্বাচনে ৩’শ আসনে প্রার্থী দিবেন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি একক ভাবে নির্বাচন করবেন। সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠকের সিদ্ধান্তে আরও বলেছেন জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবেন। ২০০৮ সালের প্রয়াত আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আওয়ামীলীগ মহাজোট গঠন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেন। এতে মহাজোট বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন। বিপুল ভোটে বিএনপি জোট পরাজিত হন। এরপর বিএনপি জোট নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবীতে হরতাল অবরোধ আন্দোলন সংগ্রাম করতে থাকেন। এর মধ্যে ২০১৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলে আসে। এ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোট নির্বাচন না করলে আওয়ামীলীগ বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করে সরকার গঠন করেন। আর সংসদের বিরোধী দল হয় জাতীয় পার্টি। এদিকে বিএনপি জোটের আন্দোলন সংগ্রাম চলতে থাকে। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন। এতেও জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হয়। এ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচন করলে বিএনপি মাত্র ৭টি সংসদ নির্বাচীত হন। অতি সাম্প্রতিক সময় জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন আওয়ামীলীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোট ছিল নির্বাচন কেন্দ্রিক। নির্বাচনের সময় যে কয়টি আসন আমরা দর কষাকষি করে এনে ছিলাম সবকয়টিতেই বিজয়ী হয়েছি। নির্বাচনের পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিরোধী দলে থাকব। কোনো অঙ্গিকার ছিল না। পরবর্তীতে আমাদের আর কিছু দিতে হবে কিনা তাই নির্বাচন পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের কাছে আমাদের চাওয়া পাওয়া বা প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগের সঙ্গে পরপর ৩টি জোট করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। নির্বাচনের আগে যখন যে শর্ত ছিল আওয়ামীলীগ তা পূরণ করেছে। নির্বাচনের আগে দলের নেতৃত্বের কাছে দর কষাকষির সুযোগ থাকে। গতবারের সংসদের মন্ত্রী পরিষদে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি ছিল। সংসদের পার্টির চেয়ারম্যান প্রয়াত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রী মর্যাদায় তার বিশেষ দূত করেছিলেন। এছাড়া যা যা দেওয়ার কথা ছিল সবই আওয়ামীলীগ দিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে জোটগতভাবে আমরা যে কয়টি আসন পেয়েছি সব কয়টি বিজয়ী হয়েছি। তিনি আরও বলেন, সংসদে মন্ত্রী থাকলে আমরা বিরোধী দলে থাকতে পারতাম না। একই সঙ্গে মন্ত্রী আবার বিরোধী দলে থাকা উচিত নয়। এদেশের মানুষ এটা ভালো চোখে দেখেন না। অপরদিকে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু বলেছেন গত নির্বাচনে বিএনপি অনেক দল নিয়ে জোট করে ছিল। আমরাও আওয়ামীলীগের সঙ্গে জোট করেছি। বিএনপি নির্বাচনে আরও বেশী আসন পেয়ে বিরোধী দলে গেলে আমাদের জাতীয় পার্টির মূল্যায়নটা অন্যভাবে হতো। তিনি আরও বলেন, জোটগতভাবে নির্বাচন হওয়ার পর পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমরা বিরোধী দলে থাকব। সরকারে যাব না। নির্বাচনের পর আমরা মহাজোটে নেই। ¯^কীয়তা নিয়ে বিরোধী দলে আছি। সরকারের মন্ত্রীত্বে থাকার প্রশ্নই নেই। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা একক ভাবে ৩০০ আসনে ভোট করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামীতে আবারো আওয়ামীলীগের সঙ্গে জোট হবে কিনা এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এই উপমহাদেশে জোট করেই নির্বাচন হয়। যেমন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপালেও জোটের রাজনীতি চালু রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, এদেশের মানুষ বিএনপি চায় না। নানান কারণে আওয়ামীলীগেরও জনপ্রিয়তা নেই। আগামীতে মানুষ জাতীয় পার্টিকেই ক্ষমতায় দেখতে চায় বলে মনে করি। তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির এমপিরা এলাকায় সব উন্নয়ন কাজে আওয়ামীলীগকে সঙ্গে নিয়ে করেন। কিন্তু যেখানে আমাদের এমপিরা নেই সেখানে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা উন্নয়ন কাজে সহযোগীতা করেন না। তাদের সঙ্গে দুরত্ব রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি এবারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক ভাবে নির্বাচন করবেন। ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের তাদের সভা সেমিনারে সংসদে আরও বলেছেন, আমরা নিজেরাই ¯^তন্ত্র ভাবে রাজনীতি করব। আর আমরা এ সরকারের সঙ্গে নেই। এদেশে কোন গণতন্ত্র নেই। এ সরকারের কোন জনপ্রিয়তা নেই। আর এই কারণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামীলীগের সঙ্গে মহাজোটে থাকবে না। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের এসব বক্তব্য অন্যদিকে জাতীয় পার্টির নেতাদের বক্তব্যের কারণে এদেশের সর্বত্রই শহরে গ্রামে পাড়া মহল্লায় হাট বাজারে মানুষের মধ্যে মানুষের আলোচনা সমালোচনা চলছে। জাতীয় পার্টি কি আসলে মহাজোট ছাড়ছেন। না, মহাজোটে থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবেন। এদিকে বিএনপি জোট নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম মিছিল মিটিং গণসমাবেশ করছেন। অপরদিকে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আর একটি বিষয়ে এ দেশ জুড়ে মানুষের মধ্যে মানুষের আলোচনা সমালোচনা চলছে। সেটি হলো জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রয়াত আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মৃত্যুবরণ করেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন প্রয়াত আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদের। এ নিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কৃত এক নেতার মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারির এক আদেশ আসে আদালত থেকে। অবশ্য সে আদেশ স্থগিত করা হয়। ফলে জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে কোন বাধা নেই। এভাবে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম চলছে।

লেখক, মোঃ বরকতুল্ল্যাহ
সাংবাদিক ও কলামিস্ট

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019