২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৬ অপরাহ্ন, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
নলছিটিতে গৃহবধূর হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ গাইবান্ধায় মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ বোরকা পরে বালিকা মাদরাসায় যুবক, ধরা পড়ে খেলেন গণপিটুনি ২৪ বছর কারাভোগ শেষে ভ্যান নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ওলিউল কাতারের সঙ্গে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই পথিকের তৃষ্ণা নিবারণে নলছিটি ফ্রি পানির বুথ করছে বিডি ক্লিন দামুড়হুদায় স্থানীয় এমপির নিকট আত্নীয় হওয়ায় ঘোষনা দিয়ে উপজেলা আঃলীগের সাঃ সম্পাদকের মনোনয়ন প্রত্যাহার গোবিন্দগঞ্জে অটোবাইক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা কালে জনতার হাতে ২ জন আটক জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচী উপলক্ষে জনসচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত
পরকীয়া প্রেমিক মিলে স্বামীকে হত্যা, কল রেকর্ডে ফেঁসে গেলেন স্ত্রী।

পরকীয়া প্রেমিক মিলে স্বামীকে হত্যা, কল রেকর্ডে ফেঁসে গেলেন স্ত্রী।

আজকের ক্রাইম ডেক্স
লালমনিরহাটে পরকীয়ার কারণেই আব্দুল জলিলকে (৩৫) হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন স্ত্রী মমিনা বেগম ও গোলাম রব্বানী নামের এক পল্লী চিকিৎসক। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে হত্যায় ব্যবহৃত আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ।

বুধবার (২৮) বিকেলে সদর উপজেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামাল বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত মমিনা বেগম ও গোলাম রব্বানীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, জলিলের কুলখানি অনুষ্ঠান শেষে তার বড়ভাই আব্দুর রশিদ মমিনা বেগমকে গ্রামের বাড়িতে যেতে বলেন। মমিনা ওই বাড়িতে আর কোনোদিন যাবে না এবং এখানে বিয়ে করবে জানালে তার সন্দেহ হয়। পরে ২৫ জুলাই (রোববার) জলিলকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

বিষয়টি তদন্তে নামে পুলিশ। সহকারী পুলিশ সুপার মারুফা জামালের নেতৃত্ব পুলিশের একটি টিম তাদের চার মাসের কল লিস্ট যাচাই করে মঙ্গলবার সকালে মমিনা বেগম চারজনকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে মমিনা ও গোলাম রাব্বানী হত্যার দায় স্বীকার করলে বাকি দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এর আগে ২২ জুলাই (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী ও আব্দুল জলিল একই সঙ্গে ছিলেন। ওইদিন গভীর রাতে গোলাম রব্বানী কৌশলে জলিলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এদিকে অপেক্ষারত স্ত্রী মমিনা বেগম স্বামী ঘুমিয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত হলে ভোরের দিকে মমিনা বেগম চিৎকার শুরু করেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে জলিলের নাকে ও মুখে রক্ত বের হতে দেখেন। পরে পল্লী চিকিৎসক গোলাম রব্বানী মৃত্যু নিশ্চিত করে তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করেন।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার (ওসি) শাহা আলম বলেন, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জলিলকে হত্যা করা হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত হতে পেরেছে। নিহতের স্ত্রী মমিনা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানী সরাসরি হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019