২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি :: বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর গর্ভের সন্তান মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অসুস্থ নারীকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার আমবৌলা গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস ফকিরের ছেলে প্রবাসী গোলাম মাওলার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লিয়া বেগমের শরীরে জ্বর দেখা দেয়। এর পর ২৪ জুলাই তাকে নিয়ে পয়সারহাট বাজারে শহীদ মেডিকেল হল ফার্মেসিতে নিয়ে গেলে পল্লী চিকিৎসক রিপন হালদার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে দেন।
স্বজনেরা জানান, রিপোর্ট দেখে লিয়া বেগমকে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশনসহ কিছু ওষুধ দেন রিপন হালদার। ওই ওষুধ প্রয়োগের পর লিয়া বেগম অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার তাকে উপজেলার পয়সারহাট আদর্শ জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করানো হয়।
রোগীর স্বজনরা জানান, অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর আল্ট্রাসনোগ্রামসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গর্ভের সন্তান মৃত বলে জানান চিকিৎসক। এর পর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় গর্ভের মৃত সন্তানকে প্রসব করানোর চেষ্টা করানো হয়। এতে গৃহবধূর অবস্থা আরও খারাপ হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে পাঠানো হয়।
তবে অভিযুক্ত রিপন হালদার বলছেন, গর্ভের সন্তানের মৃত্যু যে কোনো কারণেই হতে পারে। তবে আমার চিকিৎসার কারণে ওই সন্তান মারা যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, কোনো পল্লী চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লিখতে পারবেন না। অভিযুক্ত ওই পল্লী চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় গর্ভের সন্তান মারা গেছে কিনা তদন্ত করে পরবর্তী সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’