২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে দু’ দেশের পতাকা বৈঠক শেষে ভারতীয় নাগরিককে ফেরত কাঠালিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ১ ডাকাত গ্রেফতার দামুড়হুদায় নাশকতার মামলায় জামায়াতের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সাবেক চেয়ারম্যান,সাবেক ভাইস ঝালকাঠি পৌরসভার দুই খেয়াঘাট ইজারায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাবুগঞ্জে পাট ক্ষেত দিয়ে হাটার প্রতিবাদ করায় কৃষককে কুপিয়ে জখম টুরিস্ট পুলিশের মতবিনিময় সভা গাজীপুর জেলার শালবন গ্রীন রিসোর্টে সাথে ঝালকাঠিতে জাতীয় দিবস পালন না করায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে শোকজ ঝালকাঠিতে ভূমি সেবার টেকসই মানোন্নয়নের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের সাথে টিআইবি-সনাকের অধিপরামর্শ সভা বরিশালে মসজিদে নামাজ চলাকালীন এসি বিস্ফারণ, কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সমাদৃত করেছেন-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
বানারীপাড়ায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও রংধনু সমবায় সমিতি।

বানারীপাড়ায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও রংধনু সমবায় সমিতি।

রাহাদ সুমন,বিশেষ
প্রতিনিধি

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় উধাও হওয়ার ধারাবাহিকতায় এবার গ্রাহকদের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে রংধনু সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ’র সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন। যার মূল অফিস বাইশারী বাজারে। সে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের মৃত আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে। পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উপজেলা সমবায় অফিসার আফসানা শাখী নিজেই বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে বুধবার ৯ জুন সমিতির সম্পাদক আলমগীরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এদিকে রংধনু সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিঃ’র একটি শাখা অফিস খোলা হয় উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের জনতা বাজারে। সেখানে দেড় বছর আগে মাঠ কর্মীর চাকরি নেন ইলুহার গ্রামের মো. মিজানের স্ত্রী আঞ্জু-আরা-বেগম। তিনি ওই শাখায় কর্মরত থাকা অবস্থায় দেড় বছরে বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়কৃত ২১ লাখ টাকা আলমগীর হোসেনের কাছে জমা করেন।

মাঠ কর্মী আঞ্জু-আরা-বেগম গ্রাহকদের সঞ্চয়ের সময় শেষ হওয়ার পরে সমিতির প্রকৃত পরিচালক আলমগীর হোসেনের কাছে গ্রাহকদের জমানো টাকা ফেরৎ দিতে বলেন। তবে বিভিন্ন অজুহাতে সে টাকা ফেরৎ দিতে টাল-বাহানা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওই ২১ লাখ সহ অন্য গ্রাহকদের আরও ২৯ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় আলমগীর। এ বিষয়ে আঞ্জু-আরা-বেগম জানান, উল্টো তাকে অভিযুক্ত করে হয়রানী করার ফন্দি আঁটছে চতুর আলমগীর। অপরদিকে মোট ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার বিষয়ে উপজেলা সমবায় অফিসার আফসানা শাখী আলমগীর হোসেনেকে দায়ী করেই থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযোগ করেন।

বরিশালের বানারীপাড়ায় সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানাগেছে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২ শত সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ রয়েছে। যার কাগজে কলমে কথিত কমিটি থাকলেও বাস্তবে এর চিত্র ভিন্ন। যিনিই সভাপতি বা সম্পাদক তিনিইি মূলত সমিতি গুলোর সত্ত্বাধীকারী। প্রতিদিন মাঠ থেকে আদায়কৃত অর্থ সমিতির সত্ত্বাধীকারীর কাছেই জমা হয়। যথাযথ তদারকীর অভাবে এই উপজেলা থেকে গ্রাহকদের জমানো লাখ লাখ টাকা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে পালিয়ে যাচ্ছে
প্রতারণার ফাঁদ পাতা সুদি সমিতি গুলো।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019