২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩২ অপরাহ্ন, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স:: মাদারীপুরের শিবচরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার চাওয়ায় অভিযুক্তর হাতে উল্টো মারধরের শিকার হয়েছেন স্কুলছাত্রীর পিতা। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে।
আটক মোস্তাফিজুর রহমান মুন্সী নাসির শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নে মৃজারচর গ্রামের সাহাবুদ্দিন মুন্সির ছেলে। সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও মাদারীপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ স্কুলছাত্রী ও তার স্বজনদের বরাত দিয়ে জানায়, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় নামে মোস্তাফিজুর রহমান নাসির। সেই হিসেবে দেড় মাস আগে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গেলে নাসিরের সঙ্গে শিক্ষার্থীর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে নাসির মাদ্রাসাছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। গত ২১ মে সকালে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নাসিরের এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ছাত্রীকে খোঁজা-খুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এলাকার মাতুব্বরদের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোনো বিচার পায়নি ছাত্রীর পরিবার। পরে বাধ্য হয়ে দারস্থ হন আদালতের। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন অভিযুক্ত নাসির। সমাধানের কথা বলে নির্যাতিতার বাবাকে আজ শনিবার (২৯ মে) সকালে মাদারীপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ডেকে মারধর করেন তিনি। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে নাসিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলে- নাসিরের কঠিন বিচার চাই। ওর বিচার না হলে সমাজে মুখ দেখাতে পারব না।
মেয়েটির বাবা সাংবাদিকদের বলেন, নাসির ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও মাদারীপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় এলাকায় তার খুব প্রভাব। মাতুব্বরদের কাছে বিচার চেয়েও পাইনি। উল্টো নাসিরের হাতে মার খেতে হয়েছে।
শিবচর থানা পুলিশের ওসি মো. মিরাজ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবার এখনও থানায় আসেনি। ইতোমধ্যে সদর ওসি অভিযুক্ত নাসিরকে আটকের কথা মোবাইলে জানিয়েছেন।
নাসিরকে থানায় নিয়ে আসতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা গ্রহণ করা হবে।’