১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
স্কুল পরিষ্কার করতে বলায় প্রধান শিক্ষককে ওই স্কুলের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
মারধরের শিকার হওয়া প্রধান শিক্ষকের নাম নিলুফা খানম। তিনি উপজেলার পাগলা থানার বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অভিযুক্ত দপ্তরির নাম মো. রকিব খান।
পাগলা থানা পুলিশ ও প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার কারণে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওয়ার্কশিট দিচ্ছেন ও সংগ্রহ করছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এ কাজে ব্যস্ত ছিলেন নিলুফা খানমসহ বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দুপুরের পর শিক্ষকদের কাছে থাকা ‘ওয়ার্কশিট’ শেষ হয়ে যায়। পরে প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম দপ্তরি রকিবকে ফোন করে ওয়ার্কিইশট নিয়ে যেতে বললে রকিব তা শোনেনি। পরে শিক্ষকরাই বিদ্যালয়ে গিয়ে ওয়ার্কশিট সংগ্রহ করেন। ওই সময় বিদ্যালয়ে গেলে নিলুফা খানম রকিবকে বিদ্যালয় পরিষ্কার করতে বলেন। এতে রকিব কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রকিব খান খুন্তি দিয়ে নিলুফার মাথায় আঘাত করলে পাশের একজন প্রতিহত করেন। পরে রকিব প্রধান শিক্ষকর মাথায় ঘুষি মারেন। এতে নিলুফা খানম আহত হন।
এদিকে প্রধান শিক্ষক নিলুফা খানম লিখিত অভিযোগ দিতে গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানায় গেলেও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশে অভিযোগ না দিয়েই ফিরে আসেন। পরে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সবুজ মিয়া। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
অভিযুক্ত দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী রকিব খান প্রধান শিক্ষককে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সালমা আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষক নিলুফার খানম আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। আমি তাকে প্রথমে থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। তদন্তপূর্বক শিক্ষা বিভাগ থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, প্রধান শিক্ষক অভিযোগ দিতে থানায় এসেছিলেন। পরে শিক্ষা কর্মকর্তারা তাকে ফিরিয়ে নেন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।