২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক ::: ময়মনসিংহে সদর উপজেলায় মেয়ের সঙ্গে প্রেম করায় স্কুলছাত্র সৈকত হাসান আকাশকে (১৬) হত্যা করেন ইউপি সদস্য জিয়াউল হকসহ তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২৩ মে) দুপুর ২টার দিকে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হাইয়ের আদালতে আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার (২১ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে অষ্টধর ইউনিয়নের ভুগলির জিয়াউল হকের বাড়ির পেছন থেকে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে ওইদিন রাতেই অষ্টধর ইউনিয়নের ভুগলি থেকে ইউপি সদস্য জিয়াউল হকের স্ত্রী রোজিনা আক্তার ও তার ভাইয়ের স্ত্রী নার্গিস আক্তার, জেলার মুক্তগাছা থেকে ইউপি সদস্য জিয়াউল রহমান, তার ভাই জুলহাস উদ্দিন, জিয়াউল হকের ছেলে নাজমুল হক, প্রেমিকা জেসমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শনিবার (২২ মে) নিহত সৈকত হাসান আকাশের বাবা আকরাম হোসেন কেতোয়ালি মডেল থানায় ইউপি সদস্য জিয়াউল হককে প্রধান আসামি করে মোট ১৪ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, সদর উপজেলার অষ্টধর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আকাশের। তারা দুজন পরিবারের অগোচরে গত ২ মে কোর্ট ম্যারেজ করে যে যার বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু বিষয়টি উভয় পরিবারের লোকজন জানতে পেরে বুধবার মেয়েটি ফোন করে আকাশকে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর থেকেই আকাশ নিখোঁজ ছিল।
এদিকে, ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আকাশের বাবা আক্রাম হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ শুক্রবার ইউপি সদস্য জিয়াউল হকের বাড়ি তল্লাশি করে। এসময় জিয়াউল হকের ঘরের পাশে রক্তের দাগ দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ির চারপাশে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। পরে ওই জায়গা খুঁড়ে বেরিয়ে আসে আকাশ মিয়ার মরদেহ।
নিহত সৈকত হাসান আকাশ উপজেলার অষ্টধর ইউনিয়নের ভুগলি মন্ডল বাড়ি গ্রামের মো. আক্রাম হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় অষ্টধার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।