২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পূর্ব জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে বিশ্বে নিন্দার সম্মুখীন হচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির ঘৃণীত কর্মকাণ্ডের পরও নিন্দা জানানো তো দূরের কথা, কিছু দেশ আবার তার পক্ষ নিচ্ছে, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারত।
গত সপ্তাহ ধরে ভারতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন ও ফিলিস্তিনকে জঙ্গি হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। যেমন #IndiaWithIsrael, #IndiaStandsWithIsrael and #IsrealUnderFire, #PalestineTerrorists.
ভারতের ক্ষমতাশীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)’র সাংসদেরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। শুধু সাংসদরা নন, সেখানকার কিছু সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকেই এ ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
এর কারণ হিসেবে ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী মানসিকতা অন্যতম। আগ্রাসী ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে তারা মুসলিমদের প্রতি ঘৃণাই প্রকাশ করেছেন।
অথচ ঐতিহাসিকভাবেই ভারত ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। ১৯৮১ সালের ২৯ নভেম্বর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ডাকটিকিটও প্রচলন করেছিল।
কিন্তু গত কয়েক দশকে ভারত-ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত হয়েছে। এর পেছনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র-মোদির রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক নীতি রয়েছে। ২০১৭ সালে ভারতীয় প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি ইসরায়েল ভ্রমণ করেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিহাহুর সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ স্থাপন করেন।
ইসরায়েলি বর্বরতায় এখন পর্যন্ত ২১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে; যার মধ্যে ৬১ জনই শিশু। আহত হয়েছে সহস্রাধিক। আন্তর্জাতিক শিশুঅধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন সেভ দ্য চিলন্ড্রেন বলছে, গাজায় প্রতি ঘণ্টায় তিন শিশু হতাহত হচ্ছে। অন্যদিকে এই সংঘাতে ইসরায়েলের ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।