০৬ মে ২০২৪, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান কাবিননামায় দেনমোহর নিয়ে প্রতারণা, স্ত্রী গ্রেফতার গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে তাড়াতে দুই ছেলের অমানবিক নির্যাতন।

বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে তাড়াতে দুই ছেলের অমানবিক নির্যাতন।

আজকের ক্রাইম ডেক্স

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে দুই ছেলের বিরুদ্ধে বৃদ্ধা মাকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সিরাজদিখান উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগমকে (৬৫) মারধরের অভিযোগ তার দুই বড় ও সেজু ছেলে খায়রুল ইসলাম মঞ্জনু এবং মজিবুর তালুকদারের বিরুদ্ধে। একাধিকবার শারীরিক ও প্রতিনিয়ত মানসিকভাবে মাকে নির্যাতন করছেন তারা।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মৃত হাজী মো. ফজল তালুকদারের ৬ ছেলে ও ৫ মেয়ে। এর মধ্যে বিগত ৪০ দিন আগে তাদের বাবা মারা গেলে বাবার বসতঘরটি দখলে মরিয়া হয়ে উঠে অভিযুক্ত দুই ভাই খায়রুল ও মজিবুর। তাই প্রতিনিয়ত নানা ইস্যু তৈরি করে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করছেন তাদের মা রোকেয়া বেগমকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (৪ মে) পার্শ্ববর্তী পুকুরের মাছ ধরার ইস্যু নিয়ে খায়রুল ইসলাম ও মজিবুর তাদের মাকে মারধর করে।

এসময় ছোট দুই ভাই শামীম ও মুন্না মাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেন তারা।
এ ঘটনায় রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে বোনদের ১২ ভরি স্বর্ণ ধার নিয়ে না দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।

নির্যাতিতা বৃদ্ধা রোকেয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে খায়রুল ইসলাম মজনু ও মজিবুর আমার বসতঘরটি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তারা নানা ইস্যু তৈরি করে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছে। এর আগে দুই ছেলের নির্যাতন সইতে না পেরে থানায় জিডি করেছি। এখন আমি ও আমার অপর ছেলে-মেয়েদের নিয়ে শঙ্কিত।
তবে মাকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দুই ছেলে খায়রুল ও মজিবুর। তারা বলেন, মাকে নয় কথা কাটাকাটি হয়ে চার ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।

বিষয়টি শুনেছি দাবি করে স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটির মালেক গোরাপী বলেন, বিষয়টি নিয়ে জৈনসারের ইউপি চেয়ারম্যান বিচারের দায়িত্ব নিয়েছেন।

এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে জানিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মীর শহিদুল ইসলাম বলেন, চার ভাইয়ের মধ্যে মারামারি
থামাতে গিয়ে তাদের মায়ের গায়ে হয়তো আঘাত লেগেছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019