২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৭ অপরাহ্ন, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সারাদেশে সরকার নির্ধারিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে যখন ব্যস্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তখন সাধারণ জনগন ব্যস্ত তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘোরাঘুরিতে। প্রতিদিনই ভিন্ন ভিন্ন কৌশল আবিষ্কার করছেন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে।
ঠিক এমনি এক নতুন কৌশলে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে বৃদ্ধ এক ব্যাক্তিকে রোগী সাজিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন রাজধানীর তিন বাসিন্দা (প্রবাদে আছে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়)। পথিমধ্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানাধীন রামপট্টি এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে আটকে যান তারা। এ সময়ে বৃদ্ধ ব্যাক্তিকে রোগী পরিচয় দিয়ে তাকে নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে যাচ্ছেন বলে জানান তারা। এ সময়ে বৃদ্ধ ব্যাক্তিকে রোগী বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে বরিশাল পুলিশের চৌকশ পুলিশ কর্মকর্তা উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোঃ জাকির হোসেন রোগীর মাথার নিচে বালিশের পরিবর্তে কাপড়ের ব্যাগ দেখে সন্দেহ হলে কোন রকম খারাপ আচরন না করে হাসির ছলেই সত্যতা বের করে আনেন। এ সময়ে পুলিশের এই কর্মকর্তাকে দেখে লাফ দিয়ে উঠেন রোগীর আসনে শুয়ে থাকা ব্যাক্তি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তি পরবর্তীতে নিজের অন্যায় স্বীকার করে হাত জোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করে জানান ৩ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে এ্যাম্বুলেন্সে উঠেছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে সার্জেন্ট ইমরান জানান, এ্যাম্বুলেন্সে থাকা ব্যাক্তিদেরকে নামিয়ে গাড়ির কাগজপত্র চেক করে গাড়িটিকে ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়াও সকাল থেকে ১৫ টি গাড়িতে বিভিন্ন কারণে মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোঃ জাকির হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়নে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান স্যারের নির্দেশে কঠোর অবস্থানে আছি আমরা। করোনায় জনগনকে বাড়িতে রাখতে কোন রকম ছাড় দেয়া হবেনা।