২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে তীব্র গরম ও তাপদাহে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেঃ রেকর্ড, বানারীপাড়ায় বৃষ্টি কামনায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় দর্শনায় তৃষ্ণার্থ পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ,স্যালাইন এবং শরবত পানি বিতরণ ঘোড়াঘাটে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক- হেলপার নিহত ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রতীক পেয়ে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা সুন্দরগঞ্জে যুবলীগ নেতা আজমের উপর দুর্বৃত্তদের হামলা চুয়াডাঙ্গায় রাতে বাবাকে নিতে আসতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ছেলের মুত্যু, দু’ বন্ধু মারাত্নক জখম বানারীপাড়ায় বসতঘরে লাগা আগুনে শতবর্ষী বৃদ্ধার করুন মৃত্যু ! বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
ছেলের বিয়ের দিন মা জানলেন কনে তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ে!

ছেলের বিয়ের দিন মা জানলেন কনে তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রায় ২০ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল একমাত্র মেয়ে। সেই শোক ভুলে গেলেও ভুলে যাননি সন্তানের কথা। এখানে ওখানে খুঁজে বেড়াতেন মেয়েকে। এরই মধ্যে বড় হয়ে উঠে ছেলে। সেই ছেলের বিয়ে ঠিক করেন মা নিজেই। কিন্তু ঝামেলা বাঁধে ছেলের বিয়ের দিন। যিনি বউমা হতে চলেছেন জানা গেলো সেই পাত্রী নাকি তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ে!

সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে চীনের জিয়াংশু প্রদেশের সুঝাউ এলাকায়। ছেলের বিয়েতে আড়ম্বরের কোনো অভাব রাখেননি। চলে এসেছিলেন অতিথিরাও। এর মধ্যেই কনের সাজে সবার সামনে এলেন পাত্রী। বউমার মুখ দেখে কেনো জানি ওই মায়ের মনে হতে লাগলো এ তো তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ের মতোই!
এরপর ভালো করে কনেকে দেখতে লাগলেন তিনি। দেখলেন তার মুখের ওই দাগটা তো জন্মের পর থেকেই ছিল। সঙ্গে সঙ্গে কনের বাবা-মাকে ডেকে বসেন তিনি। সত্যটা জানতে চান। প্রথমে ওই মেয়ের বর্তমান বাবা-মা মুখ খুলতে চাননি। পরে বেরিয়ে আসে সত্য ঘটনা।

এক পর্যায়ে কনের বাবা-মা স্বীকার করে নেন, বেশ কয়েক বছর আগে রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছিলেন মেয়েটিকে। তারপর নিজেদের সন্তান হিসেবেই তাকে বড় করেন। বিয়েবাড়িতে তখন হুলস্থুল কাণ্ড। গোটা বিষয়টি জানানো হয় কনেকেও। সব শুনে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেননি তিনি। জন্মদাত্রীকে পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে কনে।
এবার গোল বাধে অন্যখানে। ভাই-বোনের তো আর বিয়ে সম্ভব নয়। তখন বের হয়ে আসে আরও বড় চমক। মেয়ে হারানো ওই মা তখন বলে বসেন, যার সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছে সে ছেলেরও জন্মদাত্রী মা তিনি নন! প্রায় দুই দশক আগে মেয়ে হারানোর পর এ ছেলেটিকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি। তবে তাকে বড় করে তুলেছিলেন একদম নিজ সন্তানের মতো করেই।
ফলে ভাই-বোনের আর কোনো প্রশ্নই নেই। ফের বেজে ওঠে বিয়ের সানাই। অতিথিরাও নতুন করে মেতে ওঠেন আনন্দে। দিনভর নানা বাধা-বিঘ্ন টপকে শেষ পর্যন্ত চারহাত এক হয়। হাফ ছেড়ে বাঁচেন নব দম্পতি।
সূত্র: বর্তমান

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019