০৫ মে ২০২৪, ১০:৫৩ অপরাহ্ন, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান কাবিননামায় দেনমোহর নিয়ে প্রতারণা, স্ত্রী গ্রেফতার গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
ভোটার তালিকায় ‘মৃত’, তাই টিকা নিতে পারছেন না স্কুলশিক্ষক। আজকের ক্রাইম-নিউজ

ভোটার তালিকায় ‘মৃত’, তাই টিকা নিতে পারছেন না স্কুলশিক্ষক। আজকের ক্রাইম-নিউজ

আজকের ক্রাইম ডেক্স
লালমনিরহাটে একজন স্কুল শিক্ষককে ভোটার তালিকায় মৃত দেখানোয় তিনি অধিকাংশ ক্ষেত্র ভোগ করতে পার পারছেন না সরকারের দেওয়া অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধা। এমনকি তিনি নিতে পারেননি করোনার ভ্যাকসিনও। এমন অভিযোগ করেছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কাকেয়া টেপা গ্রামের মৃত হিরম্বয় চন্দ্র রায়ের ছেলে লক্ষী কান্ত রায়।

তিনি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বালা পুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ভোটার তালিকায় তার নাম না থাকায় গত সংসদ নির্বাচনসহ কোন নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি তিনি, নিতে পারেননি করোনা ভ্যাকসিনও।
স্কুল শিক্ষক লক্ষ্মী কান্ত রায় জানান, বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনও করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। তিনি বিভিন্ন বিড়ম্বনার শিকারও হচ্ছেন।

এ ব্যাপারে তিনি সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করলে ২০১৪ সালের ৩ জুন তার মৃত্যু হয়েছে মর্মে একটি কাগজ ধরিয়ে দেয়া হয়।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনি মারা গেছেন মর্মে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নাম কর্তনের আবেদনপত্রে তথ্য সরবরাহকারীর নাম লেখা রয়েছে ওই গ্রামের বাসিন্দা শ্রী মন মোহন রায়ের।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য সংগ্রহকারী ধাইরখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোমিনুর রহমান, মোগলহাট ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব ও তৎকালীন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফতাবউজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই আবেদনপত্রে তাকে মৃত দেখানো হয়। এ ঘটনায় একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছেন নাম কর্তনের আবেদনপত্রে স্বাক্ষরকারীরা।
তথ্য সরবরাহকারী শ্রী মন মোহন রায় জানান, আবেদনপত্রে তার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ তিনি এ বিষয়ে কাউকে কোনো তথ্য দেননি।
মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, নাম কর্তনের আবেদনপত্রে তার স্বাক্ষর ও অফিস সিল জাল করা হয়েছে। আদৌউ তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।
তথ্য সংগ্রহকারী মোমিনুর রহমান জানান, তিনি অন্য ইউনিয়নের লোক। তথ্য সরবরাহকারির তথ্য মতেই স্কুলশিক্ষক লক্ষ্মী কান্ত রায়কে মৃত দেখানো হয়েছে। ওই নামে অন্য কেউ মারা যাওয়াতে এমন সমস্যা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফতাবউজ্জামান বলেন, স্কুলশিক্ষকদের এই কাজে (ভোটার তালিকার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা) নিয়োগ দেয় উপজেলা নির্বাচন অফিস। সরবরাহকৃত তথ্যের ওপর সুপারভাইজাররা শতকরা ২৫ ভাগ যাচাই-বাছাই করে থাকেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনপত্রে আমরা স্বাক্ষর করে থাকি।
চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন অস্বীকার করলে তো আর কিছু করার নেই।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল জানান, ওই নামে অন্য এক লোক মারা যাওয়ায় ভুলবশত তার নাম আবেদনপত্রে মৃত হিসেবে দেখানো হয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।
লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আহসান জানান, বিষয়টি বুঝতে পেড়ে লক্ষ্মী কান্ত রায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি এতদ্বসংক্রান্ত বিষয়ে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। আমরা ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019