১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, ৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের ১৩ সদস্যের ১৩৫ অ্যাকাউন্টে ৬৫ কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করার তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
এছাড়া অভিযুক্তদের নামে-বেনামে পাওয়া গেছে ৪২ একর জমির সন্ধান। যার বাজার মূল্য প্রায় ১শ’ কোটি টাকা। প্রশ্নফাঁসের অবৈধ অর্থ দিয়ে বিপুল সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন তারা- বলছে সিআইডি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্তদের সম্পত্তি জব্দ করা উচিত বলে মনে করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার খানবানিয়ারা এলাকায় জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া মুন্নুর পৈত্রিক নিবাস। ৮ ভাইবোনের মধ্যে বয়সে সবার ছোট হলেও টাকা পয়সা আর জমি জায়গায় ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। আয়ের উৎস মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস। সিআইডির তদন্ত বলছে এমন কথাই।
জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া মুন্নু মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতা যিনি। প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কোটি কোটি হাতিয়ে কিনেছেন একররের পর একর জমি। শুধু জমি কিনেই খান্ত হয়নি, সরকারি খালের মুখ বন্ধ করে কৃষককে বেকায়দায় ফেলেছেন তিনি।
ওই খালটির দুপাশে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে চাষবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন চার থেকে ৫০০ কৃষক। ২০০৬ সালে খালের মুখ বন্ধ করে জসিম উদ্দীন তার জমিতে মাটি ভরাট করেন।
জানা গেছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্রের অন্যতম হোতা স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মেশিনম্যান আবদুস সালাম। সিংগাইর একতা ইউনিয়নের কাশিমপুর এলাকায় যেদিকে চোখ যায় সেদিকে তার জমি।
গতবছরের ১৯ ও ২০ জুলাই মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, পারভেজ খান, জাকির হোসেন দীপুসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের গ্রেফতারের পর পরই প্রশ্ন ফাঁস চক্রের বিশাল এক চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রশ্ন ফাঁসকারী এ চক্রের সদস্যদের নামের সারা দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের নামে ১৩৫টি অ্যাকাউন্টে হিসেবে ৬৫ কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া অভিযুক্তদের নামে-বেনামে ৭৪টি দলিলে পাওয়া গেছে ৪২ একর জমির সন্ধান পাওয়া গেছে।
সময় সংবাদকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, মানিলন্ডারিংয়ের নামে মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জন শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, পুরোটাই মানিলন্ডারিং, এবং আমি মনে করি এটার তদন্তকাজ সমাপ্ত করতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। আর তাদের অচিরেই সম্পদ ক্রোক করা উচিত।