২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে দু’ দেশের পতাকা বৈঠক শেষে ভারতীয় নাগরিককে ফেরত কাঠালিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ১ ডাকাত গ্রেফতার দামুড়হুদায় নাশকতার মামলায় জামায়াতের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সাবেক চেয়ারম্যান,সাবেক ভাইস ঝালকাঠি পৌরসভার দুই খেয়াঘাট ইজারায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাবুগঞ্জে পাট ক্ষেত দিয়ে হাটার প্রতিবাদ করায় কৃষককে কুপিয়ে জখম টুরিস্ট পুলিশের মতবিনিময় সভা গাজীপুর জেলার শালবন গ্রীন রিসোর্টে সাথে ঝালকাঠিতে জাতীয় দিবস পালন না করায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে শোকজ ঝালকাঠিতে ভূমি সেবার টেকসই মানোন্নয়নের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের সাথে টিআইবি-সনাকের অধিপরামর্শ সভা বরিশালে মসজিদে নামাজ চলাকালীন এসি বিস্ফারণ, কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সমাদৃত করেছেন-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
জুসের সাথে ওষুধ খাইয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, কারাগারে পুলিশ সদস্য। আজকের ক্রাইম-নিউজ

জুসের সাথে ওষুধ খাইয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, কারাগারে পুলিশ সদস্য। আজকের ক্রাইম-নিউজ

আজকের ক্রাইম ডেক্স
ফেনীর ফুলগাজীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় এক পুলিশ সদস্যকে রাঙামাটি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। অভিযুক্ত কনস্টেবল ওহিদুল আলম শাওন রাঙামাটিতে একটি ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ২২ ধারায় এ ঘটনায় জবানবন্দি দেন ওই স্কুলছাত্রী। সে ফুলগাজীর একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত ১২ ফেব্রুয়ারি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন নির্যাতিতা।
আদালত সূত্র জানায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে শাওন ফুলগাজী থানায় কর্মরত থাকাকালে এক বছর আগে ওই ছাত্রীর সাথে সম্পর্কে জড়ায়। তার গর্ভে সন্তান চলে আসে। বার বার শাওনকে বিয়ে করার চাপ দেয়া হলেও সে রাজী হয়নি। পারিবারিকভাবে চেষ্টা করেও ফল পাওয়া যায়নি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীটি ফুলগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। থানার উপপরিদর্শক রাশেদুল ইসলামকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। মামলায় বলা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ছাত্রীটির সাথে সখ্যতা এবং একদিন ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে ফেনী শহরের কোন একটি বাসায় নিয়ে ফলের জুসের সাথে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে ছাত্রীটি যখন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করে তখন তার অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এভাবে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে।
বিষয়টি অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে জানালে সে নানা কৌশলে এড়িয়ে যেতে থাকে। মামলার এজাহার এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে হাকিমের সামনে এমন জবানবন্দি দেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যায় কোর্ট পরিদর্শক গোলাম জিলানী আদালতে ২২ ধারায় বয়ান দেবার কথা স্বীকার করেন।
মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কুতুব উদ্দিন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019