২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ওয়েব ডেস্ক
১৮ বছরে ৩০ জনকে খুন করে তাদের মাংস রান্না করে খেয়েছেন এক দম্পতি। শুধু তাই নয়, মানুষের মাংস কীভাবে রান্না করতে হয় তার ওপর রীতিমতো বই লিখেছেন তারা। ১৯৯৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তারা বিভিন্ন মানুষকে ফুসলিয়ে ফাঁদে ফেলে খুন করতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনই তাদের বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করতেন। অন্তরঙ্গ হওয়ার মুহূর্তে তাদের খুন করতেন। কয়েকটি ছবির কারণে এই ভয়ংকর দম্পতিকে পরে পুলিশের কাছে ধরা পড়তে হয়।
ওই দম্পতির খোয়া যাওয়া মোবাইলের সূত্র ধরে এই ভয়ংকর ঘটনার হদিস করতে পেরেছে পুলিশ। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর একটি রাস্তা সারাইয়ের সময় ওই মোবাইলটি কর্মীদের হাতে পড়ে। মোবাইলটি তখনও চালু ছিল। মোবাইলের ভেতরে ছবি দেখে আঁতকে ওঠেন রাস্তা সংস্কারকর্মীরা।
মোবাইলের গ্যালারিতে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, একটি কাটা হাত কামড়ে খাচ্ছেন দিমিত্রি। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, দিমিত্রির স্ত্রী নাটালিয়া একটি কাটা মাথার সঙ্গে ছবি তুলেছেন। এসব ছবি দেখে ফোন উদ্ধার করা ব্যক্তি বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তিনি দ্রুত পুলিশের কাছে গিয়ে এসব ছবি দেখান। এরপরই পুলিশ দম্পতিকে খুঁজতে শুরু করে। তাদের খুঁজতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়নি। কারণ তারা আশপাশের এলাকায়ই ছিলেন।
অপরাধী এ দম্পতি পুলিশের কাছে ৩০ জনের নাম বলতে পেরেছিলেন। খুনের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। পুলিশকে তারা জানান, নাটালিয়া বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতেন। এরপর তাদের বাড়িতে ডেকে সুযোগ বুঝে হত্যা করতেন দিমিত্রি ও নাটালিয়া। অন্যদিকে দিমিত্রিও বিভিন্ন নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করে ঘরে ডাকতেন। অন্য ঘরে লুকিয়ে থাকতেন নাটালিয়া। এরপর সুযোগ বুঝে শিকারকে হত্যা করতেন।
সব অপরাধ বিবেচনা করে আদালত তাদের দণ্ড দেয়। নাটালিয়াকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যদিও তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন; তবে তার সাজাটি অপরিবর্তিত রাখেন বিচারক। অন্যদিকে দিমিত্রিকে ১২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তারা দুজনই মানসিক রোগী বলে বিবেচিত হন। এ জন্য তাদের বাধ্যতামূলক সাইক্রেটিক কাউন্সিলিংয়ে রাখা হয়। ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি দিমিত্রি পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন টাইপ-১ ডায়াবেটিসে মারা যান। নাটালিয়া এখনো কারাগারে।