২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে তীব্র গরম ও তাপদাহে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেঃ রেকর্ড, বানারীপাড়ায় বৃষ্টি কামনায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় দর্শনায় তৃষ্ণার্থ পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ,স্যালাইন এবং শরবত পানি বিতরণ ঘোড়াঘাটে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক- হেলপার নিহত ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রতীক পেয়ে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা সুন্দরগঞ্জে যুবলীগ নেতা আজমের উপর দুর্বৃত্তদের হামলা চুয়াডাঙ্গায় রাতে বাবাকে নিতে আসতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ছেলের মুত্যু, দু’ বন্ধু মারাত্নক জখম বানারীপাড়ায় বসতঘরে লাগা আগুনে শতবর্ষী বৃদ্ধার করুন মৃত্যু ! বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
জেলারকে লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে কারাগারে নারীকে এনেছিলেন হলমার্ক কর্মকর্তা! আজকের ক্রাইম-নিউজ

জেলারকে লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে কারাগারে নারীকে এনেছিলেন হলমার্ক কর্মকর্তা! আজকের ক্রাইম-নিউজ

আজকের ক্রাইম ডেক্স:: এক নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেতে হল-মার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদ কাশিমপুর কারাগার-১-এর দুজন কর্মকর্তা ও কয়েকজন কর্মচারীকে ঘুষ দিয়েছিলেন। তুষার কারাগারের জেলারকে ১ লাখ, ডেপুটি জেলারকে ২৫ হাজার এবং সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর, গেট সহকারী প্রধান কারারক্ষীকে ৫ হাজার টাকা করে ঘুষ দিয়েছিলেন। গত ১৪ জানুয়ারি কারা মহাপরিদর্শকের কাছে দেওয়া সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়ের প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজে রত্না রায়ের সম্পৃক্ততা দেখা গেলেও প্রতিবেদনে এই কর্মকর্তা নিজের কোনো দায় বা অবহেলার কথা উল্লেখ করেননি।
প্রতিবেদনে রত্না রায় ওই দিনের ঘটনার জন্য জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধাকে প্রধানত দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধার অনুমতি নিয়ে পুরো ঘটনার সঙ্গে কাশিমপুর কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. সাকলায়েন ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ওই দিন দায়িত্ব পালনরত ডেপুটি জেলার ও কারারক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। তবে জেলারের জবানবন্দি নেননি। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে রত্না রায় বলেন, যেহেতু পুরো ঘটনা জেলারের তত্ত্বাবধানে সংঘটিত হয়েছে, তাই জেলারকে না জানিয়ে ওই দিন যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে রত্না রায়ের মুঠোফোনে ও কারাগারের টেলিফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

তবে জেল সুপার রত্না প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে তাঁর অগোচরে ও গোপনে হয়েছে। কারাগারের গেটে জেলারই তাঁদের কারাগারে প্রবেশের অনুমতি দেন এবং ডেপুটি জেলার তাঁদের রিসিভ করেন, যা সিসিটিভি ফুটেজে রয়েছে। সামগ্রিক বিষয়টি ওয়াকিটকির মাধ্যমে না বলে গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে মুঠোফোনের মাধ্যমে হওয়ায় কেউ জানতে পারেনি। তাঁর দাবি, তাঁকে না জানাতেই এসব করা হয়েছে।

অবশ্য জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধা তাঁর বিষয়ে জেল সুপারের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি মাত্র চার মাস আগে এ কারাগারের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, জেল সুপারের নির্দেশেই তাঁদের দেখা করার অনুমতি দিয়েছেন। তাঁদের কারাগারে ঢোকার সময় জেল সুপার কারাগারের অফিসেই ছিলেন। তিনি ২০ মিনিট পর বের হয়ে যান। ওই প্রতিষ্ঠানের পরিবারের সবার সঙ্গেই জেল সুপারের সখ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৬ জানুয়ারি তুষার আহমদ কারাগারে এক নারীর সঙ্গে সময় কাটান।

ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষের দিকে যান। সেখানে ওই নারীকে ডেপুটি জেলার সাকলায়েন স্বাগত জানান।

ফুটেজে আরও দেখা যায়, ওই নারী কক্ষে ঢোকার পর সাকলায়েন বেরিয়ে যান। এরপর জেল সুপার রত্নার কক্ষের দিকে যান তুষার। পরে তুষার ও ওই নারী সাকলায়েনের কক্ষে ফেরেন। সেখানে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ছিলেন তাঁরা।

রত্না রায় প্রতিবেদনে বলেন, হাজতি বন্দী তুষার একজন সাধারণ বন্দী শ্রেণিপ্রাপ্ত নন। ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েন ও গেট ওয়ার্ডের সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, তাঁরা জেলারকে জানিয়ে তুষারকে কারাগারের কার্যালয়ে নিয়েছিলেন। রত্না প্রতিবেদনে জানান, জেলারের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া একজন বিচারাধীন আসামির সঙ্গে কারও সাক্ষাতের জন্য কারাগারের অফিসে আসা সম্ভব নয়। জেলারের সিনিয়র জেল সুপারকে অবহিত করার কথা। কিন্তু জেলার তা করেননি।

কাশিমপুর কারাগার সূত্রে জানা যায়, তুষার আহমদ তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন, ওই নারী তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, দোষী জেল সুপার, জেলারসহ জড়িত সব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তও চলছে। তাঁদের সবার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019